সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় টানা জেলবন্দি থেকে জামিনের জন্য বারবারই আবেদন করেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তবে জামিন অধরাই। এবারও তা মিলল না। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত তাঁকে এবং আরও ১২ জনকে ফের দু’ সপ্তাহে জেল হেফাজতে পাঠানো হল। তবে এবার আদালত চত্বরে ঘনিষ্ঠ মহলে নতুন দাবি করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নিয়োগে মন্ত্রীর কোনও ভূমিকা থাকে না। কে কাকে নিয়োগের জন্য কত টাকা নিয়েছেন, তা তিনি একেবারেই জানেন না। একই মামলায় ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষকেও তিনি চেনেন না বলে দাবি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর।
এদিন সিবিআইয়ের (CBI) কাজের উপর ফের ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারক। একটা মামলার জট খুলতে কতদিন সময় লাগবে, তা জানতে চান ক্ষুব্ধ বিচারক। গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া যেভাবে চলছে, তাতে তিনি বেজায় অসন্তুষ্ট, স্পষ্টই এদিন বুঝিয়ে দেন। সিবিআইও নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত জামিনের আবেদন জানান। আর কতদিন তাঁর মক্কেলকে জেল হেফাজতে থাকতে হবে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসপি সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ ১৩ জনকেই ১৬ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুুন: ‘ওঁদের সঙ্গে যাব না,মানুষের জোট হবে’, লোকসভায় বাম-কংগ্রেসের হাত ধরতে নারাজ মমতা]
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক জট খুলছে সিবিআই। তবে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তেমন খুশি নন বিচারক। বারবার শুনানিতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। আরও প্রশ্ন উঠেছে, এতদিন ধরে যখন হেভিওয়েটদের জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে, তখন তেমন কোনও তথ্য কেন বেরিয়ে আসছে না, যার উপর ভিত্তি করে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে। আর সিবিআইয়ের যুক্তি, এত প্রভাবশালী ব্যক্তি সকলে, তাই তাঁদের জামিন নয়, হেফাজতে রাখা জরুরি।