সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য গ্লোবাল জেহাদ। আর তাই নবপ্রজন্মের মগজ ধোলাই করতে প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ (JeM)। জেহাদের বার্তা দিতে বানিয়ে ফেলেছে একটি আস্ত অ্যাপ। যদিও অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সংস্থার দাবি, ইসলামের শিক্ষা প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশে বানানো হয়েছে অ্যাপ।
অ্যাপটিক নাম ‘আচ্ছি বাত’। তাতেই চলছে বিদ্বেষমূলক প্রচার। প্রচারিত হচ্ছে জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের (Masood Azhar) বক্তব্যও। এমনটাই অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, অ্যাপটির ডেভেলপাররা একটি ব্লগ পেজ তৈরি করেছেন। সেই পাতায় যুক্ত রয়েছে হাইপারলিঙ্ক। সেখানে ক্লিক করলেই অন্য একটি পেজ খুলে যাচ্ছে। আর বিপত্তি সেখানেই।
[আরও পড়ুন: কিমের কোরিয়ায় অনাহারের আশঙ্কা, রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে প্রকাশ্যে উদ্বেগজনক তথ্য]
খুলে যাওয়া নতুন ওয়েব পেজে মাসুদ আজহারের রয়েছে বক্তৃতার অডিও এবং বই। যদিও সেখানে সরাসরি মাসুদের নাম লেখা নেই। উল্লেখ আছে তার ছদ্মনামের ‘সাদি’। উল্লেখ্য, জইশ প্রধান ওই ছদ্মনামেই পরিচিত। গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি, অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা ‘গুগল প্লে স্টোর’ থেকে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের তালিকা’-য় রয়েছে জইশ। তারপরেও ‘সন্ত্রাসবাদী’ পরিচয় গোপন করেই ২০২০ সালে অ্যাপটি চালু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অ্যাপটি ৬ হাজার বার ডাউনলোড হয়েছে। মাসুদ ছাড়াও একাধিক মৌলবাদী নেতার বক্তৃতা রয়েছে সেই অ্যাপে।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাইতে জইশ প্রধান মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেটা সম্পূর্ণই সাজানো ছিল বলে দাবি করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি ছিল, পাকিস্তানের বহাওয়ালপুরের বহাল তবিয়তে আছে মাসুদ আজহার। সেখানে রীতিমতো জইশ কম্যান্ডারদের সঙ্গে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে মাসুদ। কখনও বাহাওয়ালপুরের কৌসর কলোনি, কখনও খাইবার-পাখতুনখোয়ার বান্নু এলাকার মাদ্রাসা বিলাল হাবসাই আবার কখনও লাক্কি মারওয়াটের মাদ্রাসা মসজিদ-ই লুকমানে ডেরা পালটে পালটে থাকছে মাসুদ ও তার ঘনিষ্ঠরা।
[আরও পড়ুন: মায়ানমারে তুঙ্গে গৃহযুদ্ধ, বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত বার্মিজ সেনার ৩০ জওয়ান]
আর এ বিষয় সবটাই জানে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা বলে দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের। ছলে-বলে-কৌশলে তাদের সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। এবার আমেরিকার সরাসরি এহেন অভিযোগে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে ইসলামাবাদ।