সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক (Pakistan) মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নিশানায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল (Ajit Doval)! গত ৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়া জইশ-ই-মহম্মদের এক জঙ্গিকে জেরা করার পরই সামনে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ওই জঙ্গি জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা নির্দেশ মেনে সে ডোভালের অফিসে রেকি করে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে রাজধানীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও নজরদারি চালিয়েছিল সে। তুলেছিল ভিডিও। উদ্দেশ্য ছিল, হামলার ব্লু প্রিন্টের ছক কষা। তার কাছ থেকে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি শোনার পরেই কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে ডোভালের অফিসে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হিদায়তউল্লা মল্লিক নামের ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয় জম্মু ও কাশ্মাীরের শোপিয়ান থেকে। তার কাছ থেকে অজিত ডোভালের অফিসের ‘রেকি’ করার ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েছে সে। জেরার মুখে নিজের কীর্তির কথা সবিস্তারে জানিয়েছে ধৃত জঙ্গি।
[আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ঢাকা উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা! গাড়ি-ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত ৬]
ঠিক কী জানিয়েছে সে? ২০১৯ সালের ২৪ মে শ্রীনগর থেকে বিমানে নয়াদিল্লিতে আসে হিদায়ত। কেবল ভিডিও তোলাই নয়, পাশাপাশি সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখে সে। পরে তার তোলা ভিডিওটি সে হোয়াটসঅ্যাপে পাকিস্তানে পাঠিয়েও দেয়। নিজের পাক প্রভুকে ‘ডক্টর’ বলে উল্লেখ করেছে ধৃত। পাকিস্তান থেকে কারা নির্দেশ দিত, সে সম্পর্কেও বহু তথ্য ফাঁস করেছে সে। দশটি ফোন নম্বর ছাড়াও তাদের নাম, সাংকেতিক নামও জানিয়েছে হিদায়ত।
হিদায়ত আরও জানিয়েছে, গত বছরের মে মাসে তাকে একটি স্যান্ট্রো গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ ছিল আত্মঘাতী হামলার। পরে নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরের একটি ব্যাংকে ডাকাতি করে ৬০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল ওই জঙ্গি। জইশের শাখা সংগঠন লস্কর-ই-মুস্তাফার প্রধান ছিল সে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করার সময় তার কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে পিস্তল ও গ্রেনেড।