সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্রমে হারানো জমি উদ্ধার করছে তালিবান। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে শরিয়ত আইনের নামে অত্যাচার। জঙ্গিদের দখল করা এলাকায় ফের সেই প্রস্তর যুগে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে মহিলাদের। এহেন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের অবস্থা নিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি-সহ একাধিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাসখন্দে ম্যারাথন বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে কাজ করতে গিয়ে সংঘর্ষে নিহত পুলিৎজার প্রাপ্ত ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক]
বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির
সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। সূত্রের খবর, পাহাড়ি দেশটিতে দ্রুত তালিবানি আগ্রাসন ও আফগান ফৌজের হারের বিষয়ে আলোচনা হয় দু’জনের মধ্যে। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই বৈঠকের বিষয়ে জয়শংকর লেখেন, “আফগান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অত্যন্ত খুশি। আফগানিস্তান ও আশপাশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আফগানিস্তানে শান্তি, স্থিতাবস্থা ও উন্নয়নের প্রকল্পে ভারতের সমর্থনের কথা ফের জানিয়েছি।” এদিন, আফগানিস্তান নিয়ে আমেরিকার বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ ও মার্কিন ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর শেরউড রেন্ডালের সঙ্গেও বৈঠক করেন জয়শংকর। পাশাপাশি, উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মুক্তার তিলেউওয়ারদির সঙ্গেও বৈঠকে বসেন তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার আমেরিকার বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ জানান, ফৌজ প্রত্যাহার করলেও আফগানিস্তানের পাশে থাকবে আমেরিকা। তিনি বলেন, “আফগান সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।” তবে ওয়াশিংটনের এহেন বয়ানেও নয়াদিল্লির রক্তচাপ কমছে না। কারণ, তালিবানের উপর প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলছে পাকিস্তান। সংগঠনটির পাক বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। তবে তা আশানুরূপ হচ্ছে না। এদিকে, ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে মস্কো। আর আফগানিস্তান ইস্যুতেও রাশিয়ার সঙ্গে খানিকটা মন কষাকষি হয়েছে ভারতের। ফলে সব মিলিয়ে ক্রমে উদ্বেগ বাড়ছে সাউথ ব্লকে।