অর্ক দে, বর্ধমান: জলপাইগুড়ির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রাজনীতির রং লেগে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের সৌজন্যে। বিশেষ করে লোকসভা ভোটের (2024 Lok Sabha Election) ঠিক আগে এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বরাবরের বিতর্কিত নেতা, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh)। সোমবার তিনিই বিপর্যয় নিয়ে বলেছিলেন, ''উত্তরবঙ্গে ঝড় হয়েছে, বিজেপির ঝড়। ওখানেই তো প্রথম দফায় ভোট।'' আর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁর মন্তব্য, ''ঝড় হলে বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তৃণমূলের পোয়া বারো। তারা কামাইয়ের সুযোগ পায়। পকেটে টাকা ঢোকে তৃণমূল নেতাদের। আমরা দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকি। কিন্তু টাকার ফিরিস্তি দিই না।'' এক বিতর্কের রেশ না কাটতেই তাঁর এই মন্তব্য আরও এক বিতর্কের জন্ম দিল।
মঙ্গলবার সকালে প্রচারে বেরিয়ে বর্ধমানের বাদামতলা এলাকায় 'চায়ে পে চর্চা'য় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিপর্যয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ''ঝড় হলেই তৃণমূলের পোয়া বারো। ত্রাণে যা আসবে, ঝেড়ে ফাঁক করে দেবে। ঝড় হোক, বন্যা হোক, ওরা চায় এসব হোক। তাহলেই কামাই হবে। সরকারে যারা আছে, তাদের দায়িত্ব এখন যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ানো, ক্ষতিপূরণ দিয়ে ফের জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। আমরা, বিরোধীরা মানুষের সঙ্গে থাকি। কিন্তু কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মতো টাকার ফিরিস্তি দিই না।'' এর পর তাঁর অভিযোগ, আমফানের মতো ঝড়ে কেন্দ্র থেকে টাকা এল। কিন্তু তা কার তৃণমূল কর্মীদের অ্যাকাউন্টে গেল। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধানদের নিশানা করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আগুনে গরমে পুড়বে গোটা দেশ, এপ্রিল-জুনে ভয়ংকর তাপপ্রবাহের সতর্কতা মৌসম ভবনের]
উল্লেখ্য, প্রচার ময়দানে নেমে দিলীপ ঘোষ রোজই একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করছেন। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, এটাই তাঁর প্রচার কৌশল। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর এহেন বেলাগাম মন্তব্যে কড়া নির্বাচন কমিশন। তাঁকে ভাষা ব্যবহারে সংযত হওয়ার জন্য় সতর্ক করা হয়েছে কমিশনের তরফে। কিন্তু দিলীপ রয়েছেন নিজের অবস্থানেই। রোজই তিনি একের পর এক এমন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করছেন, যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার 'প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তৃণমূলের পোয়া বারো' মন্তব্যও তেমনই।