শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন জলপাইগুড়ি শহর। করলা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত পরেশ মিত্র কলোনি, নিচমাঠ এলাকা। বাড়িতে ঢুকেছে জল। ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা। এছাড়াও পান্ডাপাড়া, মহামায়া পাড়া,স্টেশন রোড-সহ একাধিক রাস্তা জলবন্দি। কোথাও হাঁটু জল, তো কোথাও কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল অবস্থার জন্য এই জল জমছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
[আরও পড়ুন: ছেলেধরা গুজবের মাঝে নিখোঁজ একই স্কুলের ৫ ছাত্রী, চাঞ্চল্য মগরায়]
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহরে ১৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে করলা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে সেই জল শহরে ঢুকেছে। প্লাবিত শহরের পরেশ মিত্র কলোনি, নিচমাঠ এলাকা। নদীতে বাঁধের প্রতিশ্রুতি থাকলেও, তা তৈরি না হওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে স্থানীয়রা।
আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাতেই করলা পাড়ের বাসিন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী দাস বলেন, "ঘরের ভিতরে জল ঢুকে গিয়েছে। থাকা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অন্যত্র যেতে হচ্ছে।" আরেক বাসিন্দা সৌমেন চ্যাটার্জি বলেন, "মহামায়া এলাকায় হাঁটু সমান জলজমে রয়েছে। এই রাস্তায় চলাফেরা করা খুব মুশকিল। এই অবস্থা প্রতিবছরই হয়। আশা করছি প্রশাসন এই বিষয়টি দেখবে।"
সমতলের পাশাপাশি সিকিমেও (Sikkim) ভারী বৃষ্টির জেরে জলস্তর বেড়ছে তিস্তায়। দোমোহনি এলাকায় হলুদ এবং বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মেখলিগঞ্জে লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। জল বাড়তে থাকায় নদী পাড়ের বাসিন্দাদের এখনই থেকেই সরে যেতে বলা হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে প্রশাসন।