shono
Advertisement

ফাঁসি কার্যকর যুদ্ধাপরাধী মির কাশেম আলির

সুকুমার সরকার: জামাত-ই-ইসলামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যুদ্ধপরাধী ‘ধনকুবের’ মির কাশেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল৷ শনিবার সকাল থেকেই তাঁর প্রাণদণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত এদিন ভারতীয় সময় রাত ১০.০৫ মিনিটে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয় এই জামাত নেতাকে৷ এই নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ছ’জনের ফাঁসি হল বাংলাদেশে৷ আগেই প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত […] The post ফাঁসি কার্যকর যুদ্ধাপরাধী মির কাশেম আলির appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 02:44 PM Sep 04, 2016Updated: 09:14 AM Sep 04, 2016

সুকুমার সরকার: জামাত-ই-ইসলামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, যুদ্ধপরাধী ‘ধনকুবের’ মির কাশেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল৷ শনিবার সকাল থেকেই তাঁর প্রাণদণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত এদিন ভারতীয় সময় রাত ১০.০৫ মিনিটে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয় এই জামাত নেতাকে৷ এই নিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ছ’জনের ফাঁসি হল বাংলাদেশে৷ আগেই প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে মতিউর রহমান নিজামি, আলি আহসান মহম্মদ মুজাহিদ, মহম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরিকে৷

Advertisement

শনিবার সকাল ১১টায় বিশেষ কারা বার্তাবাহকের মাধ্যমে লাল রঙের খামে পুরে কাশেমের ফাঁসি কার্যকর করার চিঠি পাঠানো হয়েছিল কারাগারে৷ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দু’টি ফাঁসির মঞ্চও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল৷ সেখানে ছিলেন প্রধান ফাঁসুড়ে শাহজাহান ভুঁইয়া-সহ মোট ছয় ফাঁসুড়ে৷ উল্লেখ্য, এবারই প্রথম কোনও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীর ফাঁসি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হল৷ শুক্রবারই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আলি৷ তার পরই ৬৪ বছর বয়সি কাশেমের ফাঁসি কার্যকর করার সব রকম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল কারা-কর্তৃপক্ষ৷ কারাগার চত্বরে এদিন ছিল কড়া নিরাপত্তা৷ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় খুন-ধর্ষণ ও গণহত্যা-সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রাণদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয় জামাতের প্রধান অর্থদাতা কাশেমের বিরু‌দ্ধে৷ ২০০ কোটি টাকা খরচ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু‌দ্ধে জনমত ঘুরিয়ে দিয়ে নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করার চেষ্টাও করেন এক সময় ব্যাঙ্ক মালিক কাশেম৷ মঙ্গলবার তাঁর ফাঁসির আর্জি পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত৷ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার দুপুরে তাঁকে শেষবার দেখে আসেন তাঁর পরিবারের ২৬ সদস্য৷ তার আগে ফাঁসি নিয়ে কাশেমের মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ফেসবুকে লেখেন, “আব্বুকে শেষবারের মতো দেখতে যাচিছ৷ কাল আববু থাকবে না, এ নিয়ে আমরা দুঃখিত নই৷ শাহাদাতের মর্যাদা ক’জনের ভাগ্যে জোটে!’’

 

The post ফাঁসি কার্যকর যুদ্ধাপরাধী মির কাশেম আলির appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement