সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন লর্ডসে শুরু হয়েছিল ক্রিকেট পরিক্রমা। সেই লর্ডসেই থেমে গেল জিমি রূপকথা। শুরু আর শেষ মিলে গেল একই বিন্দুতে এসে। জেমস অ্যান্ডারসন রূপকথাও থেমে গেল এদিন। লর্ডসে জিতে কেরিয়ার শেষ করলেন অ্যান্ডারসন।
ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট কার্যত হয়ে গেল অ্যান্ডরসনেরই টেস্ট ম্যাচ। অনেক আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন লর্ডসেই শেষবারের মতো নামবেন। জীবনের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড এক ইনিংস ও ১১৪ রানে প্রথম টেস্ট ম্যাচ জিতে নিল।
ইংল্যান্ডের তারকা বোলার টেস্টে চারটি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে একটির পর, দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট নেন। তাঁর নামের পাশে লেখা রইল ৭০৪টি টেস্ট উইকেট। ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে লর্ডসেই অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন অ্যান্ডারসন। প্রথম টেস্টে পাঁচটি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই শুরু। তার পর সময় যত এগিয়েছে, অ্যান্ডারসন ততই দাপট দেখিয়েছেন। আগের থেকেও শাণিত হয়েছেন তিনি। সেই অ্যান্ডারসনকেই ম্যাঞ্চেস্টারের হোটেলে ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ২০২৫-২৬ মরশুমের অ্যাশেজে তাঁকে রাখা হচ্ছে না পরিকল্পনায়। সেই বৈঠকের পরই মে মাসের গোড়ায় এক বিবৃতিতে অ্যান্ডারসন জানিয়ে দেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টটা খেলেই তিনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। তিন দিনে খেলা শেষ হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করে ১২১ রান। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৭১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবিয়ানরা হারাকিরি করে বসে। ১৩৬ রানে থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজরা।
[আরও পড়ুন: একটা ট্যাকল, দুই ফুটবলারের হাতাহাতি, ডার্বির আগে ‘গৃহযুদ্ধ’ ইস্টবেঙ্গলে]
বিদায়বেলায় আবেগে ভাসলেন অ্যান্ডারসন। লর্ডসে উপস্থিত দর্শকরা করতালিতে তাঁকে শেষ বিদায় জানালেন। সবুজ মাঠ থেকে ধীরে ধীরে অপসৃয়মান হয়ে গেলেন অ্যানাডরসন। তাঁর ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে ধরা দেবে বিশ্ব ক্রিকেটে। তাঁর অভাব অনুভূত হবে ইংল্যান্ড ক্রিকেটেও।