সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) তালিবানি শাসনতন্ত্র কায়েম হতেই জারি হয়েছে একাধিক ফতোয়া। মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অনুমতি দেওয়া হলেও কো-এডুকেশনের বিরুদ্ধে তালিবানি ফতোয়া জারি করেছে তারা। এমনকী, বিশ্ববিদ্যালয়েও ছেলে এমং মেয়েদের আলাদা ক্লাস করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। এবার সেই তালিবানি মানসিকতা ভারতেও। কো-এডুকেশনের বিরুদ্ধে সরব মুসলিম সংগঠন জামিয়াত উলেমা-ই হিন্দ (Jamiat Ulema-e-Hind)।
সংগঠনের শীর্ষকর্তাদের দাবি, পরিবারের মেয়েদেও উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন। তাদের জন্য আলাদা স্কুল-কলেজ তৈরি করতে হবে। অমুসলিম পরিবারের কাছেও তাঁদের আবেদন, ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনা করতে দেবেন না। মেয়েদের অনৈতিক এবং দুর্ব্যবহার থেকে দূরে রাখা যাবে বলে মনে করে তাঁরা। জামিয়াত উলেমা-ই হিন্দের এধরনের মনোভাব সামনে আসতেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
[আরও পড়ুন: পঞ্জশিরে ফের ধাক্কা তালিবানের! মাসুদ বাহিনীর হাতে নিকেশ ৩৫০ জেহাদি]
ঠিক কী বলেছে জামিয়াত উলেমা-ই হিন্দ? সংগঠনের কর্তা আরশাদ মাদানি বলেন, “গোটা দেশে যে পরিস্থিতি চলছে তার বিরুদ্ধে কোনও অস্ত্র দিয়ে লড়াই করা সম্ভব নয়। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় নতুন প্রজন্মকে উচ্চ শিক্ষিত করা।” তাঁর কথায়, স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় সমস্ত সরকারই মুসলমিদের শিক্ষাব্যবস্থা থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছে। মাদানি আরও বলেন, “মুসলিমরা শিক্ষিত হয়ে চায় না, এটা সত্য নয়। তাহলে তাঁরা মাদ্রাসা তৈরি করত না।”
এর পরই তাঁর আবেদন, “আমি বারবার বলছি মেয়েদের শিক্ষিত হওয়া দরকার। আর আমি অ-মুসলিম ভাইবোনেদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করুন। তাঁদের জন্য স্কুল-কলেজ তৈরি করুন। তবে মেয়েদের ছেলেদের সঙ্গে পড়তে পাঠাবেন না।” তাঁৎ এহেন মন্তব্যের পরই বেড়েছে বিতর্ক। সমালোচকরা বলছেন, তালিবানি মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে জামিয়াত উলেমা-ই হিন্দ । তাই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করতে চাইছে তারা। একসঙ্গে পড়াশোনা বন্ধ করতেও ফতোয়া জারি করছে সংগঠনটি।