সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার কাশ্মীরের একটি গ্রাম থেকে ধরা পড়ে তালিব হুসেন নামে এক লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি (LeT Terrorist)। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, দলের সক্রিয় কর্মী ছিল সে। কিন্তু মাত্র একদিনের মধ্যেই ভোল বদল হল তাদের। সম্পূর্ণ ভোল পালটে তারা জানাল, দলের সঙ্গে কোনওদিনই যুক্ত ছিল না তালিব। মাঝে মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে আসত সে। বিজেপির তরফে আরও বলা হয়েছে, তালিবের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের দাবি জানানো হবে।
রবিবার বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চার (BJP Minority Morcha) তরফে বলা হয়েছিল, তালিব হুসেন নামে ওই জঙ্গি দু’ মাস আগে পর্যন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তালিবের সঙ্গে জম্মু কাশ্মীরের বিজেপি (BJP) প্রেসিডেন্ট রবিন্দর রায়নার সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিও পাওয়া গিয়েছিল। সাফাই দিয়ে বিজেপির তরফে রাজৌরি এলাকার জেলা প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “অনেকেই আমাদের দলে যোগদান করেন। কে কোন জায়গা থেকে যোগ দিচ্ছেন তার দিকে নজর রাখা সম্ভব নয়। তবে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে তালিবের ছবি রয়েছে, একথা অস্বীকার করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: আচমকা কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের! তুঙ্গে BJP নেত্রীর দলবদলের জল্পনা]
মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান পালটে ফেলেছে বিজেপি। রবিন্দর রায়না বলেছেন, “আমাদের দলের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত ছিল না তালিব। বিজেপির সদস্যও ছিল না। মাঝেমাঝে সাংবাদিক সেজে দলীয় অফিসে আসত।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আমার অফিসের ভিতরে ঢুকে ভিডিও করেছে তালিব। পাকিস্তানি জঙ্গিদের কাছে সেই তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছে।”
রায়না আরও জানিয়েছেন, বেশ কিছু বিজেপি নেতাকে হত্যা করার ছক কষেছিল তালিব। সেই কারণেই গোটা বিষয়ের এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন রবিন্দর রায়না। ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু মোর্চার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়না। তিনি বলেছেন, “কাউকে সদস্যপদ দেওয়ার অধিকার নেই সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান সেখ বসিরের। একমাত্র প্রেসিডেন্টই কাউকে সদস্য হিসাবে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।” এহেন মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে দলের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে বিজেপি। তাই অবস্থান বদলে সাফাই দিতে চেষ্টা করছে নেতৃত্ব।