জামশেদপুর এফসি–১ (ঈশান)
এসসি ইস্টবেঙ্গল–০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্পেনীয় কোচ মানোলো দিয়াজ চলে যাওয়ার পরে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) দায়িত্ব এসে পড়ে অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিংয়ের উপর। দায়িত্ব নেওয়ার পরে দুটো ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন রেনেডি সিং। বেঙ্গালুরু, মুম্বই সিটি এফসি-র পরে মঙ্গলবার জামশেদপুরকেও (Jamshedpur FC) প্রায় রুখে দিয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনী। কিন্তু ৮৮ মিনিটে ঈশান পণ্ডিতার হেডে হারতে হল রেনেডির এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। ১১টি ম্যাচ হয়ে গেলেও জয় অবশ্য অধরা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এদিন হেরে গেলেও লাল-হলুদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই হবে।
প্রথম সাক্ষাতে এই জামশেদপুরের সঙ্গে ড্র করেছিল লাল-হলুদ। সেটাই ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ। তার পরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। স্পেনীয় কোচকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় ড্যানিয়েল চিমার সঙ্গেও সম্পর্কচ্ছেদ করা হয়েছে। স্পেন থেকে এসে কোচ মারিও রিভেরা নিভৃতবাসে রয়েছেন। নতুন ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের নামও ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। রেনেডির (Renedy Singh) কোচিংয়ে এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে। ডিফেন্স আগের থেকে অনেক শক্তিশালী। রেনেডির এই দলে নেই কোনও বিদেশি ডিফেন্ডার। তবুও লাল-হলুদের ডিফেন্সে কাঁপুনি ধরাতে পারেনি জামেশদপুর।
[আরও পড়ুন: আইপিএলের নয়া দুই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ছাড়পত্র দিল BCCI, ঘোষিত নিলামের দিনক্ষণও]
জামেশদপুরের বিরুদ্ধে বিদেশি সিডোয়েল নামেন দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমার্ধে বিদেশি না থাকলেও যে লাল-হলুদকে ম্লান দেখিয়েছে তা একেবারেই নয়। বরং প্রতিটি বলের জন্য লড়াই করেছেন হীরা-অঙ্কিতরা। লড়াইয়ের স্পৃহা অনেক বেড়ে গিয়েছে দলের মধ্যে। রেনেডির জাদুমন্ত্রেই এই পরিবর্তন।
প্রথমার্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স জামশেদপুর ভাঙতেই পারেনি বলাই যায়।দ্বিতীয়ার্ধে মারের হেড এসসি ইস্টবেঙ্গলের বারে লেগে ফিরে আসে। তাছাড়া বিশেষ কোনও সুযোগ তৈরি করতে পারেনি জামশেদপুর। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নজর কাড়লেন অঙ্কিত, হীরা, আদিল খান। ৫৭ মিনিটে চোটের জন্য মাঠে ছাড়তে হয় আদিল খানকে। ডিফেন্সে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। অথচ স্পেনীয় কোচ মানোলো দিয়াজের দলে জায়গা হত না আদিল খানের। অবশ্য লাল-হলুদের এই মরিয়া লড়াই থেমে যায় ৮৮ মিনিটে। পরিবর্ত হিসেবে নামা ঈশান পণ্ডিতার হেড খুঁজে পায় এসসি ইস্টবেঙ্গলের জাল। তাঁকে ঠিকমতো মার্কিং করতে পারেনি সদ্য মাঠে নামা বলবন্ত সিং। গোলটা এমন সময়ে পেল জামশেদপুর যে ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি লাল-হলুদ।
রেনেডির দল আজ হেরে গেলেও তিনি তাঁর কাজে সফল। অত্যন্ত কঠিন সময়ে দলের হাল ধরেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল দলের মনোবল ফিরিয়ে দেওয়া। নানা প্রতিবন্ধকতা নিয়েও সেই কাজটা রেনেডি খুব ভালভাবেই করেছেন। এদিন জিতে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে চলে গেল জামশেদপুর।