সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন্মাষ্টমীতে গোপালের সাজ রংচঙে না হলে আর কী আর জমে? কৃষ্ণ নিজেও সাজ-শৃঙ্গার পছন্দ করেন। তাই এদিন পুজোর জায়গা এবং দোলনার পাশাপাশি গোপালকেও নতুন পোশাকে সাজান। কীভাবে সাজাবেন? রইল কিছু টিপস।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। তাই লাড্ডু গোপালের জন্য এদিন দোলনা সাজানো এবং গোপালের শৃঙ্গার মাস্ট! প্রথমেই পুজোর ব্যাকড্রপ প্রস্তুত করুন। আডজকাল বাজারচলতি অনেক ব্যাকড্রপ পাওয়া যায়। সেটা দেওয়ালে সাঁটিয়ে নিন বা পর্দার স্ট্যান্ডের মতো ঝুলিয়ে নিন। এবার বেদি প্রস্তুত করতে হবে। ব্রাইট হলুদ রঙের পেপারে মুড়ে দিন বেদি, বা দোলনায় রাখলে জুঁইফুল বা রজনীগন্ধার মালা দিয়ে দোলনা সাজান। কিংবা সোনালী জরি দিয়েও সাজাতে পারেন। এবার লাড্ডু গোপালের সাজে আসা যাক।
নানা সাইজের গোপালের পোশাক পাওয়া যায়। কনট্রাস্ট করেও পরাতে পারেন। এতে দিব্যি জমে যাবে। যেমন ধরুন হলুদ ঘাগড়ার সঙ্গে ওড়নাটা নীল হোক বা সবুজ, কমলা। দারুণ মানাবে। কিংবা ঘাগড়া আর ওড়না এক রঙের রেখে পাগড়ির ডিজাইনে চমক দিতে পারেন। পাগড়িটা যেন জমকালো হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এবং তাতে যেন অতি অবশ্যই ময়ূরপুচ্ছ লাগানো থাকে। এতে ছোট্ট গোপুকেও বেশ বড় লাগে দেখতে। গোপালের গয়নাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি গয়না বেশি পরান, তাহলে পোশাক হোক একরঙের এবং ডিপ রঙের। এতে সাজটা দারুণ মানাবে।
জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণের সাজসজ্জাও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত। সুন্দরভাবে সাজিয়ে কৃষ্ণপুজো করলে নাড়ু গোপালও খুশি হবেন। এদিন গোপালকে হলুদ, সবুজ, লাল রঙের পোশাক পরাবেন। এ ছাড়াও ময়ূরপঙ্খ বা ফুলের পোশাকও পরাতে পারেন। এর ফলে কৃষ্ণ তুষ্ট হবেন। বাঁশি কৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। তাই তাঁর হাতের বা পাশে বাঁশি রাখতে ভুলবেন না। মাথায় ময়ূরপঙ্খের মুকুট পরালে গোপাল তুষ্ট হয়ে আপনাদের সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করবেন। জন্মাষ্টমীতে পুজোর সময়ে কৃষ্ণকে রুপো বা সোনার বালা, কানের দুল, রুপো বা মুক্তোর কুণ্ডল পরাতে পারেন। কিংবা বাজারে সিটি গোল্ড ইমিটেশনের নানা গয়না পাওয়া যায়। কোমরে কোমরবন্ধ পরিয়ে দিন। সাজসজ্জায় তৃপ্ত হলে কৃষ্ণ ভক্তের জীবনের সমস্ত বাধা দূর করেন।