সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাগরে মিশছে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের ‘বিষাক্ত’ জল। জাপানের এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবেশপ্রেমীরা। রীতিমতো বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। তেজস্ক্রিয়তার আশঙ্কায় প্রবল আপত্তি জানিয়েছে চিনও।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার প্রশান্ত মহাসাগরে ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের ‘বিষাক্ত’ জল ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিন, পরমাণু কেন্দ্রটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা TEPCO জানিয়েছে, আজ সমুদ্রের পরিস্থিতি ও আবহাওয়া জল ছাড়ার পক্ষে অনুকূল। স্থানীয় সময় মতে, দুপুর ১২টা নাগাদ কলের মুখ খুলে দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া পরিদর্শনে অকুস্থলে রয়েছে রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনে’র একটি বিশেষজ্ঞ দল।
[আরও পড়ুন: ইতিহাস লিখেছে চন্দ্রযান, ব্রিকস সম্মেলনের নৈশভোজে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসলেন মোদি]
জানা গিয়েছে, প্রায় ১ হাজার স্টিলের কন্টেনারে রয়েছে ফুকুশিমা-দাইচি পরমাণু কেন্দ্রের বর্জ্য জল। প্রায় ৪৫০টি সুইমিং পুল ভরে যাওয়ার মতো জল রয়েছে সেগুলিতে। দফায় দফায় তা সাগরে ফেলা হবে। প্রথম দফায় প্রায় ১৭ দিন ধরে চলবে জল ছাড়ার প্রক্রিয়া। সাগরে ফেলা হবে প্রায় ৭ হাজার ৮০০ কিউবুক মিটার জল। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত চলবে সেই প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে জাপানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে সুনামি। দানবীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুকুশিমা আণবিক কেন্দ্র। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কায় কেঁপে ওঠে দেশটি। তারপরই ফুকুশিমার ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আসলে ভয়াবহ সুনামি ও ভূমিকম্পের ধাক্কায় প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র। সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত চুল্লিগুলিকে ঠান্ডা করতেই ১০ লক্ষ মেট্রিক টন জল ব্যবহার করবে জাপান। গত মাসে সেই জল সমুদ্রে ফেলার অনুমতি দেয় ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি’ (IAEA)। ফলে তেজস্ক্রিয় সেই জল মিশবে সমুদ্রে। টোকিও অবশ্য দাবি করছে, ওই জল নিরাপদ। রেডিও অ্যাক্টিভ আইসোটোপগুলিকে সরাতে জল ফিল্টার করেই ছাড়া হবে। তবু আতঙ্কিত দক্ষিণ কোরিয়া। ভয়ে ভয়ে রয়েছেন সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবী ও দোকানদাররা।