দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পুড়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই। তৃণমূল নেতা খুনের ২ দিনের পরেও থমথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাঁকি। ঘরছাড়া এখনও বহু। গ্রামবাসীদের চোখে মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সন্তানকোলে নিয়ে বুধবার বিকেলের দিকে গ্রামে ফিরলেন ‘ঘরছাড়া’দের একাংশ। এলাকা যাতে ফের উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট পুলিশ ও প্রশাসন।
বুধবার বিকেলের দিকে অটোয় চড়ে মহিলা এবং শিশুদের গ্রামে ঢুকতে দেখা যায়। গ্রামে ঢোকার সময় মহিলাদের সঙ্গে ছিল সিপিএম নেতৃত্ব। তবে গ্রামবাসী ছাড়া অন্য কারোর গ্রামে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
কেন সিপিএম নেতৃত্ব ঢুকতে পারবে না, সে প্রশ্ন তোলেন গ্রামের মহিলারা। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাঁধে। স্থানীয়দের দাবি, এখনও গ্রামের বেশিরভাগ ঘরই পুরুষশূন্য। পুলিশ চলে যাওয়ার পরই গ্রামে ফের অশান্তির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। ২৪ ঘণ্টা গ্রামে পুলিশ থাকবে বলেই আশ্বাস মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অতীশ বিশ্বাসের। তবে গ্রামের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বাসের পরেও সন্দিহান গ্রামবাসীরা।
[আরও পড়ুন: হিংসা বন্ধে ‘সামাজিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার বার্তা, জয়নগর নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল?]
তৃণমূল নেতা খুনের পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও রহস্যভেদ করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার ঘটনাস্থলে যান গোয়েন্দা আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের একপ্রস্থ কথাও হয়। সিপিএমই সুপারি কিলার দিয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে খুন করিয়েছে বলে দাবি ফিরহাদ হাকিমের। এখনও পর্যন্ত ধৃতকেই চলছে জোর জিজ্ঞাসাবাদ।
এদিকে, সইফউদ্দিন লস্কর খুনের ঘটনাস্থল থেকে ২ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই বাইক দুটির মধ্যে একটির নম্বরপ্লেট ছিল। আরেকটি নম্বরপ্লেটবিহীন। নম্বরপ্লেট থাকা বাইকটির মালিক মসিউর রহমান বলেই দাবি। সে স্থানীয় সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান ঘনিষ্ঠ। আর নম্বরপ্লেটবিহীন বাইকটি সিপিএম নেতা আনিসুর রহমানের বলেই দাবি তৃণমূলের।
ঘটনাস্থলের ২ কিলোমিটার দূরে কীভাবে বাইক দুটি এল, তা নিয়ে জারি রহস্য। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
দেখুন ভিডিও:
ছবি ও ভিডিও: বিশ্বজিৎ নস্কর।