সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে জল্পনার অবসান। বিহারের (Bihar) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) আজ বিজেপির সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections 2020) আসন সমঝতার কথা সরকারিভাবে ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘জেডি(ইউ) পাচ্ছে ১২২টি আসন। আমাদের কোটার মধ্যে থেকে সাতটি আমরা দিচ্ছি হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চাকে। বিজেপি প্রার্থী দেবে ১২১টি আসনে। আলোচনা চলছে। বিজেপি তাদের কোটার মধ্যে থেকে আসন ভাগ করে নেবে বিকাশীল ইনসান পার্টির সঙ্গে।’’ এই বিকাশশীল ইনসান পার্টি আগে ছিল ইউপিএ’তে। বিজেপি চাইছে বুঝিয়ে তাঁদের এনডিএ শিবিরে ভেড়াতে।
গত ক’দিন ধরে এনডিএ-র (NDA) আসন সমঝোতা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। এর মধ্যেই এলজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার পাটনার এক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি এবং জেডিইউ যৌথভাবে আসন বণ্টনের কথা জানিয়ে দিল। এলজেপি এর আগে জানিয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে নির্বাচনে লড়তে তাদের আপত্তি না থাকলেও আদর্শগত বৈষম্যের কারণে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট গড়তে তারা রাজি নয়। এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান বলেন, তিনি চান রাজ্যে বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠিত হোক। তিনি আর নীতীশ কুমারকে বিশ্বাস করেন না।
[আরও পড়ুন: মিথ্যে বলতে ৫০ লক্ষ টাকা ‘ঘুষ’ দেওয়া হয় হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারকে! দাবি পুলিশের ]
কিন্তু বিজেপি এদিন জানিয়ে দিয়েছে, বিহারে নীতীশ কুমারের দলের সঙ্গে তাদের জোট ‘অবিচ্ছেদ্য’। তারা আরও জানিয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আরজি জানাবে, যেন এলজেপি তাদের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ব্যবহার না করতে পারে। এভাবেই বিহারের রাজনীতিতে চিরাগ পাসোয়ানের দলকে প্রত্যাখ্যান করার কথা বুঝিয়ে দিল গেরুয়া শিবির।
এদিন এনডিএ-র সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির সুশীল মোদি দাবি করেন, মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে নীতীশ কুমারই আবারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। পাশাপাশি রামবিলাস পাসোয়ানের অসুস্থতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা রামবিলাস পাসোয়ানজিকে শ্রদ্ধা করি। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’’আগামী অক্টোবরেই শুরু হবে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। ২৮ অক্টোবর, ৩ নভেম্বর ও ৭ নভেম্বর এই তিন দিনে তিনটি দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। ফলাফল প্রকাশিত হবে ১০ নভেম্বর।