সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) জোট সাবলীলভাবে পথচলা শুরু করতেই ফের ইডির নোটিস পেলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে হেমন্তকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ১৪ আগস্ট তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হেমন্তের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় ইতিমধ্যেই এক আইএএস-সহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই ১৪ আগস্ট হেমন্তকে তলব করা হয়েছে। এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবং দুটি পৃথক পৃথক মামলায়। অর্থাৎ হেমন্ত সোরেনের উপর জোড়া চাপ দেওয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
[আরও পড়ুন: দল সরেছে মার্কসবাদের আদর্শ থেকে! অভিমানে সিপিএমের বহু কর্মীও SUCI’র ব্রিগেডে]
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে খনি দুর্নীতি ও আর্থিক তছরুপের মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেদিন সেই তলব এড়ান হেমন্ত। সেবারে রাজনৈতিক প্রতিংসার অভিযোগ তোলেন সোরেন। দাবি করেন, আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে হেনস্তা করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তিনি বলেন, “যদি আমি দোষী হয়ে থাকি, তাহলে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন? ক্ষমতা থাকলে আমাকে সোজা গ্রেপ্তার করে ফেলুন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত ঝাড়খণ্ড সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি (BJP)। সেই জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: মঙ্গলাহাট অগ্নিকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, ষড়যন্ত্রের ‘নীল নকশা’ জল্পনা]
ঘটনাচক্রে এবারেও সেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্বই ঘুরে ঘুরে আসছে। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, হেমন্ত সোরেন ইন্ডিয়া জোটের সক্রিয় সদস্য। তাঁর দল প্রবল বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। লোকসভার আগে তাই হেমন্তকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে গেরুয়া শিবির।