সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা পাচারের অভিযোগে ধৃত কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন সোনা কিনতে হাওলার মাধ্যমে টাকা পাঠানোর কথা। মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি চোরাচালান বিরোধী সংস্থা ডিআরআই-এর।

কী এই হাওলা? সরকারের নজর এড়িয়ে কালো টাকার অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমকেই হাওলা বলে। অর্থাৎ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে এড়িয়ে টাকা পাঠানো। এভাবেই সোনা কেনার টাকা দেওয়ার কথা রানিয়া স্বীকার করেছেন বলেই তদন্তকারীদের দাবি। এদিকে এদিন অভিনেত্রীর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী মধু রাও বলেন, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্তের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই তদন্তের লক্ষ্যই হল এক্ষেত্রে আর্থিক বেনিয়মের পরিমাণ এবং আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘনের পরিমাণ নির্ধারণ করা। এর আগে দু'বার অভিনেত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। একবার নিম্ন আদালতে। অন্যবার আর্থিক অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে।
প্রসঙ্গত, ১৪ কেজিরও বেশি ২৪ ক্যারেট সোনা উদ্ধার করা হয়েছিল অভিনেত্রীর কাছ থেকে। যার মূল্য ১ কোটি টাকারও বেশি। এরপর তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা এবং ২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা। এই সব টাকা ও সোনার কোনও রসিদ বা উৎসের কথা জানাতে পারেননি রানিয়া। পরে দুবাইয়ের শুল্ক দপ্তর জানিয়ে দেয়, গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তিনি দুবাই থেকে সোনা কিনেছিলেন। এবং ঘোষণা করেছিলেন, ওই সোনা নিয়ে তিনি জেনেভায় যেতে চান। যদিও দেখা গিয়েছে, সোনা নিয়ে তিনি ভারতেই ফিরেছিলেন। এভাবে বারবার দুবাই যাওয়ার ভ্রমণ ইতিহাস থেকে পুলিশ নিশ্চিত, সোনা পাচারের কাজেই এতবার সেখানে যেতে হয়েছিল কন্নড় অভিনেত্রীকে।