সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্বস্তিতে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। খনি লিজ দেওয়া মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। যদিও বৃহস্পতিবার সোরেন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তাঁকে এবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। বরং তাঁর পালটা দাবি, এক বিজেপি সাংসদ ও তাঁর ‘পুতুল’ সাংবাদিকরাই এই রিপোর্ট তৈরি করে করেছে। কেননা এই ধরনের রিপোর্ট ‘সিল’ থাকারই কথা।
রীতিমতো ক্ষোভ উগরে একটি বিবৃতি পেশ করেছেন হেমন্ত সোরেন। জানিয়েছেন, ”বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপি নেতারা, যাঁদের মধ্যে একজন বিজেপি সাংসদ ও তাঁর ‘পুতুল’ সাংবাদিকরা রয়েছেন তাঁরাই নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টটি তৈরি করেছেন। অন্যথায় এই ধরনের রিপোর্ট মুখবন্ধ অবস্থায় থাকে।”
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের পুনরাবৃত্তি দিল্লিতে! ‘বিধায়ক ভাঙাতে ৮০০ কোটি খরচ করতে চায় বিজেপি’, বিস্ফোরক কেজরিওয়াল]
এদিকে সোরেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ বজায় রেখেছে বিজেপি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, ”হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক।” উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ওই রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
সোরেনের দল জেএমএমে’র জোটসঙ্গী কংগ্রেস জানিয়েছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন রাজ্যপাল। কংগ্রেস নেতা আলমগির আলমের কথায়, ”আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। উনি জানিয়েছেন, ওঁকে এখনও ওই রিপোর্টের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্যপালের উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমরা আমাদের নীতি কী হবে তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।” তবে নতুন করে নির্বাচন হলে যে সোরেনকেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চাইবেন তা পরিষ্কার করে দিয়েছে কংগ্রেস।
গত চারদিনে অনেক ‘নাটক’ প্রত্যক্ষ করেছে ঝাড়খণ্ড। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন তাদের শুনানি শেষ করে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসের কাছে তাঁর মতামত চাওয়া হয়। সূত্রানুসারে, পরের দিন রাজ্যপাল পরদিন ওই রিপোর্টটি পান। নিশিকান্ত দুবে টুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে কমিশনের রিপোর্ট। এদিকে এর আগে সোরেনের দল জেএমএম অভিযোগ করেছিল তাঁদের ১২ জন বিধায়ককে ভাঙাতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।