সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: রাজনীতি তাঁর রক্তে। রাজনীতির আবর্তেই বড় হয়ে ওঠা। কয়েক বছর আগেই সরাসরি রাজনীতিতে যোগও দিয়েছেন তিনি। দল বদল করে সেই লড়াকু নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা এবার ঝাড়গ্রাম থেকে তৃণমূলের প্রার্থী। আর নিজের মেয়েকে এই যুদ্ধে জেতাতে ‘আত্মত্যাগ’ করছেন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী তথা বীরবাহার মা চুনীবালা হাঁসদা ও তার দল।
প্রাক্তন বিধায়ক চুনীবালা হাঁসদা মেয়ের এই নতুন যাত্রা পথে কোনও রকম বাধা তৈরি করতে চান না। তাই তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে মেয়েকে জেতাতে এবার ঝাড়গ্রাম বিধানসভা আসনে কোনও প্রার্থী দেবে না ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)। মেয়ের এই যাত্রা পথে যাতে বীরবাহা এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য হাত খুলে আশীর্বাদ করছেন চুনীবালা হাঁসদা। ওই বিধানসভা এলাকায় যারা ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) কর্মী-সমর্থক রয়েছেন তাদের কাছে বীরবাহাকে সমর্থনের আরজি জানিয়েছেন চুনীবালা। তবে মেয়ের সঙ্গে একসঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন না তিনি।
[আরও পড়ুন : বেনোজলে আস্থা নেই? প্রথম প্রার্থী তালিকায় পুরনো সৈনিকদেরই প্রাধান্য দিল বিজেপি]
ঝাড়খন্ডি আন্দোলনের প্রবাদপ্রতীম নেতা তথা দু’বারের প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত নরেন হাঁসদা এবং প্রাক্তন বিধায়ক চুনিবালা হাঁসদার মেয়ে বীরবাহা হাঁসদা। এবার তাঁকেই সেখা প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর সেই প্রার্থীকে জেতাতেই মেঘের আড়াল থেকেই লড়াই করবেন তাঁর মা তথা পোড় খাওয়া নেত্রী চুনীবালা হাঁসদা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ঝাড়গ্রামের এই কেন্দ্রে অধিকাংশই আদিবাসীর বাস। ২৬ শতাংশ বোট রয়েছে তাঁদের ঝুলিতে। এই ভোট বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে পার্থক্য তৈরি করতে বড় ভূমিকা নেবে। ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন) সেখানে প্রার্থী না দিলে এই আদিবাসী ভোট পাবে তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা। ফলে নিজেদের শক্তঘাঁটি ঝাড়গ্রামে লিড পাওয়া গেরুয়া শিবিরের কাছে বেশ কিছুটা কঠিন হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন : জেল খেটেছেন, রিকশা চালিয়েছেন! ভাবমূর্তিই হাতিয়ার বলাগড়ের তৃণমূল প্রার্থী মনোরঞ্জনের]
দেখুন ভিডিও: