সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইংল্যান্ডের (England Women Team) বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছেন রেণুকা সিং। তিনি বলছিলেন, ঝুলন গোস্বামী যখন খেলা শুরু করেছে তখন তাঁর বয়স তিন বছর।
দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত (Harmanpreet Kaur) আবার বলছেন, যখনই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তখনই পাশে পেয়েছেন ঝুলন গোস্বামীকে। লর্ডসের বিশ্বকাপ ফাইনালে একদিন স্বপ্ন ভেঙেছিল ঝুলন গোস্বামীর (Jhulan Goswami)। শনিবার সেই লর্ডস তিনি ছাড়লেন ম্যাচ জিতে। এর থেকে আর ভাল কীইবা হতে পারত!
[আরও পড়ুন: জিতে বর্ণময় ক্রিকেট পরিক্রমা শেষ করলেন ঝুলন, আবেগের জোয়ারে ভাসল লর্ডস]
ভারতীয় দলের রিমোট কন্ট্রোল হরমনপ্রীতের হাতে। তিনি দলের অধিনায়ক। এদিন হরমনপ্রীত টস করার সময়ে এগিয়ে দেন বহু যুদ্ধের সৈনিক ঝুলনকে। অন্যদিকে চোখের জলে ভেসেছিলেন হরমনপ্রীত। অধিনায়ককে সান্ত্বনা দিতে দেখা গিয়েছিল ঝুলনকেই। দলের বর্ষীয়ান সদস্য সম্পর্কে হরমনপ্রীত খেলার শেষে বললেন, ”আমার যখন অভিষেক হয়, তখন ঝুলন গোস্বামী লিডার ছিল। আর যখনই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তখন অনেকেই সমালোচনা করেছে। কিন্তু খারাপ সময়ে পাশে পেয়েছি একজনকেই। সে ঝুলন গোস্বামী।”
হরমনপ্রীত আরও বলেন, ”সব সময়ে ঝুলন সাপোর্ট করে গিয়েছে। এটাই হয়তো ঝুলনের শেষ ম্যাচ ছিল কিন্তু আমি জানি ও সব সময়ে আমাদের পাশে রয়েছে। আমরা এটাও জানি, একটা ফোন করলেই ঝুলনকে পাশে পাব। ওর সঙ্গে আমরা যে খেলতে পেরেছি এটাই আমাদের কাছে অনেক বড় ব্যাপার।” টিভি সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন হরমনপ্রীত।
ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটটি তোলার জন্য মরিয়া ছিল ভারত। কিন্তু কিছুতেই উইকেট নেওয়া যাচ্ছিল না। দীপ্তি শর্মা মাঁকড় পদ্ধতিতে আউট করেন চার্লি ডিনকে। আর তিনি ফিরতেই ইংল্যান্ড ম্যাচ হেরে যায়। লর্ডসের বিখ্যাত বারান্দায় গোটা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল তখন বিহ্বল অবস্থায় দাঁড়িয়ে। মাঁকড় পদ্ধতিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্রিকেটীয় স্পিরিটের পরিপন্থী কী, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। খেলার শেষে টিভি সঞ্চালক তাই ডিনের আউট নিয়ে প্রশ্ন করেন হরমনপ্রীতকে। ভারত অধিনায়ক কিন্তু এই প্রশ্ন সহজে ছেড়ে দেননি। বরং সঞ্চালককে বলেন, ”আমি তো ভেবেছিলাম আপনি আমাদের নেওয়া সব গুলো উইকেট নিয়েই আলোচনা করবেন। তার বদলে প্রথমেই এই আউট (ডিনের উইকেট) নিয়ে প্রশ্ন করলেন। আইসিসি যে নিয়ম করেছে তাতে এই আউটকে বৈধতা দিয়েছে। এটা নিশ্চয় আপনার জানা। তবে দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি তো আমার প্লেয়ারদের পাশে থাকবই।”
বিতর্কের গন্ধ মাখা প্রশ্ন এভাবে ছক্কা হাঁকালেন। ঝুলন গোস্বামীও তো সবসময়ে খেলোয়াড়দের পাশে থেকে গিয়েছেন। জুনিয়র ক্রিকেটারদের সাহায্য করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। হরমনপ্রীত বললেন, ”ঝুলন এমন একজন মানুষ যাঁর সঙ্গে সবসময়ে কথা বলা যায়। আমার খারাপ সময়ে ঝুলনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার খারাপ সময়ে পরামর্শ দিয়ে বলেছিল কী করতে হবে।”