অর্ণব আইচ: বৃহস্পতিবার জামাইষষ্টীতে সবার বাড়িতেই উৎসবের মেজাজ। এলাহি খাওয়াদাওযার আয়োজন। প্রতিবছর এইদিনে উৎসবের আমেজেই থাকেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। তাই ষষ্ঠীর প্রসাদ নিয়ে জেলে হাজির হলেন জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী।
রঘুনাথগঞ্জের জোতকমল পিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা টগরীর সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় জীবনকৃষ্ণ সাহার। সন্তানও রয়েছে তাঁদের। বিধায়কের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নজর রাখলেই বোঝা যায় দাম্পত্য সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল জীবন ও টগরীর। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবছর জামাইষষ্ঠী আর সকলের মতোই আনন্দ-উদযাপনের মধ্যে দিয়েই কাটত তাঁদের। কিন্তু এবছরটা একেবারে আলাদা। প্রতিবারের মতো জামাইষষ্ঠী এসেছে ঠিকই। কিন্তি জীবনকৃষ্ণের পক্ষে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া সম্ভব নয়। কারণ তাঁর বর্তমান ঠিকানা জেল।
[আরও পড়ুন: জনতার বেছে নেওয়া প্রার্থীকে না মানলেই বহিষ্কার! দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা অভিষেকের]
তাই বৃহস্পতিবার সকালে জামাইষষ্ঠীর প্রসাদ নিয়ে জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে জেলেই এলেন স্ত্রী টগরী। ছিল লুচি, মিষ্টি। কিন্তু জেলে বাইরের খাবার দেওয়া নিষেধ। কোনও ক্ষেত্রে একান্তই দিতে হলে তার জন্য নিয়মকানুন প্রচুর। সেই কারণেই এদিন প্রসাদ না দিয়েই ফিরতে হয় টগরীদেবীকে। এদিকে এদিনই আদালতে পেশ করা হয়েছিল জীবনকৃষ্ণকে। তাঁকে ১ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।