সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের শেষেই সুনামি এসেছিল মোবাইল নেটওয়ার্কের বাজারে। দোকানে দোকানে পড়ে গিয়েছিল লাইন। ফ্রি ইন্টারনেটের সঙ্গে ফ্রি ভয়েস কলের সুবিধা। এ সুযোগ কি ছাড়া যায়? ফল, ২০১৬-র নভেম্বরেই জিও ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল এক কোটিরও বেশি। এখন সংখ্যাটা আরও অনেকটাই বেশি।
বিয়েতে ৫ লক্ষ টাকার বেশি খরচ রুখতে আসছে নয়া বিল
কিন্তু যেই ফ্রি ভয়েস কলের কলের জন্য মানুষের মধ্যে এতটা উন্মাদনা ছিল, সেই ফ্রি কল ব্যবহার করতেই অনিহা দেখা যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। অন্তত ট্রু-কলার নামে সংস্থার সমীক্ষা সেই কথাই বলছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, জিও-র মাধ্যমে ফ্রি ভয়েস কলের সুবিধা যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁরা গড়ে মাত্র ৩০ সেকেন্ড কথা বলেন। যেখানে ভোডাফোন ব্যবহারকারীদের পয়সা দিয়ে কল করতে হলেও গড়ে অন্তত ৪১ সেকেন্ড কথা বলেন।
অভিযানে বাধা দিলে কাউকে রেয়াত নয়, হুঁশিয়ারি সেনাপ্রধানের
কী হতে পারে এর কারণ? কেন বিনামূল্যে ভয়েস কল করার সুবিধা পেয়েও ফোনে কথা বলতে চাইছেন না জিও উপভোক্তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অন্যতম কারণ জিওর নেটওয়ার্ক সমস্যা। এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ মুকেশ আম্বানিও। সমস্যার দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখনও নেটওয়ার্ক সমস্যা রয়েই গিয়েছে বিনামূল্যের এই পরিষেবায়। যার ফলে মানুষের উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যেই ফ্রি ইন্টারনেটের পরিধিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে দিনে ১ জিবি পর্যন্ত। তাই ৩১ মার্চের পর কী হতে চলেছে তা নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছেন জিও ব্যবহারকারীরা।
বুদ্ধির জোরে অনেক এগিয়ে থাকে প্রথম সন্তান
The post জিও-র ফ্রি পরিষেবার সুনামিতে ভাটার টান appeared first on Sangbad Pratidin.