শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ফের বেসুরো জিতেন্দ্র তিওয়ারি! মঙ্গলবার তাঁর টুইট নিয়ে নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক। আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ভোটের হার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্রর দাবি, দুয়ারে সরকার প্রকল্পের প্রভাব পড়েছে এই ভোটে। তাঁর এমন বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপির গড় হিসেবে পরিচিত আসানসোলে (Asansol) বিপুল ভোটে পরাস্তা গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপির হারের কারণ নিয়ে দলের অন্দরেই নানারকম ব্যাখ্যা, অসন্তোষ চলছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সন্ত্রাসের কারণেই তাঁদের পরাজয়। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের গলাতেও একই সুর। কিন্তু দলের পথে না হেঁটে ভিন্নসুরে কথা বললেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি টুইট করেন, আসানসোল ও বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর প্রভাব পড়েছে বাংলার ভোটারদের মনে। দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে সুবিধা পাওয়াতেই প্রভাবিত হয়েছেন ভোটাররা। তবে একইসঙ্গে তিনি লিখেছেন, গত বছর বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় ভীত ভোটাররা বিরোধীদের ভোট দিতে যেতে ভয় পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কেমছো! জামনগরের অনুষ্ঠানে WHO প্রধানের মুখে গুজরাটি শুনে উচ্ছ্বসিত মোদি]
এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দলের একজন কর্মী হিসাবে যেটা আমার সত্যি মনে হয়েছে, সেটাই বলেছি।” এ ব্যাপারে আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, “রাজ্য সরকারের এইসব প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পেয়েছেন। তাই মানুষ দল ও সরকারের সঙ্গে রয়েছেন। আমরা এটাই প্রথম থেকে বলে আসছি। অতএব জিতেন্দ্র তিওয়ারির বোধোদয় হয়েছে, জেনে ভাল লাগল।”
তবে জিতেনের পাশে দাঁড়িয়ে অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য, “রাজ্যে কোনও স্থায়ী সম্পদ না তৈরি করে মা বোনেদের হাতে লক্ষ্মীভাণ্ডারের নামে ৫০০ টাকা করে দিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ রাজ্যের ভবিষ্যৎ কোথায়? শিক্ষিত বেকারদের চাকরি কোথায়? উন্নয়নমুখী প্রকল্প কোথায়? এখন হয়তো ৫০০ টাকা হাতে পেয়ে মা বোনেরা খুশি হচ্ছেন। কিন্তু রাজ্যের অর্থনীতি কোন রসাতলে যাচ্ছে, তা পরে বুঝতে পারবেন বাংলার মা বোনেরা। সামান্য টাকায় ভোট কেনা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না। সন্ত্রাস ও টাকা দিয়ে ভোট প্রভাবিত হচ্ছে। আমার মনে হয় জিতেন্দ্র তেওয়ারি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন।”