সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর। ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। আজমল কাসভদের বিরুদ্ধে সেদিন এনএসজি কম্যান্ডোদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নিকেশ করেছিলেন সন্ত্রাসবাদীদের। ওই লড়াই জিতলেও মারণ করোনার (Corona Pandemic) বিরুদ্ধে হার মানলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG) বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান জে কে দত্ত। কোভিড (Covid-19) সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২। জে কে দত্তের মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা দেশেই।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এরপরই শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গুরগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। কোভিড সংক্রান্ত একাধিক জটিলতাও ছিল তাঁর। শনিবার সন্ধ্যের দিকে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। পরিবারের এক সদস্যকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানায় সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় তওকতের কামড়! গুজরাটে চোখের সামনে গুঁড়িয়ে গেল পাঁচতলা বাড়ি, ভিডিও ভাইরাল]
প্রসঙ্গত, ২৬/১১-র সেই হামলায় পাকিস্তান (Pakistan) থেকে সমুদ্রপথে মুম্বই মহানগরীতে ঢুকে পড়া লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালিয়েছিল। বাণিজ্যনগরী তছনছ করে রক্তগঙ্গা বইয়েছিল। ১৬৬ জন সন্ত্রাসের বলি হন। ৩০০-র বেশি জখম হন। ২৮ নভেম্বরের মধ্যে অবশ্য তাদের হাত থেকে তাজ হোটেল বাদে বাকি সব আক্রান্ত স্থানগুলি সুরক্ষিত করে জে কে দত্তের বাহিনী। পরদিন এনএসজি কম্যান্ডোরা তাজ হোটেলে ঢুকে ম্যারাথন গুলিযুদ্ধের পর সন্ত্রাসবাদীদের খতম করে। জীবিত ধরা পড়েছিল মাত্র একজন সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসব, যার ফাঁসি হয় ২০১২-য়। ১৯৭১ এর ব্যাচের বাংলার আইপিএস অফিসার জে কে দত্ত ২০০৮ এর সেই সন্ত্রাসবাদী হামলার পালটা ‘অপারেশন ব্ল্যাক টর্নাডো’ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ছিলেন এনএসজি প্রধান। এছাড়া সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর পদেও বসেছিলেন।