স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: শান্তি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরলেই ‘সঠিক সময়ে’ জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। বুধবার সংসদে জানাল কেন্দ্র। বুধবার রাজ্যসভায় আলাদা আলাদাভাবে জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলেন দুই সাংসদ। উল্লেখযোগ্য দিক হল, এই দু’জনের মধ্যে একজন ‘বিরোধী’ শিব সেনা সাংসদ হলেও আরেক জন ওড়িশায় বিজেপির শরিকদল বিজেডির।
প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও ডা. সস্মিত পাত্রের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই (Nityananda Rai) জানিয়েছেন, সঠিক সময় এলেই জম্মু-কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরত দেওয়া হবে। এই ‘সঠিক সময়’-এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে উপত্যকার স্বাভাবিকত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়। এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ধীরে ধীরে জম্মু-কাশ্মীর স্বাভাবিক হচ্ছে। দোকানপাট, ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সরকারি অফিস-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র ধীরে ধীরে পুরনো অবস্থায় ফিরছে। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর সন্ত্রাসবাদ কমেছে ৫৯ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা কেরলে, পরিস্থিতি দেখতে পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় দল]
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে বড়সড় অগ্রগতির পথে কেন্দ্র। কিছুদিন আগেই কাশ্মীরের ৮টি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের ১৪ জন প্রথম সারির নেতাকে নিয়ে সর্বদল বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুখ এবং ওমর আবদুল্লাহ, PDP’র মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ-সহ কাশ্মীরের তাবড় শীর্ষনেতারা। কাশ্মীরি নেতাদের দিল্লি ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে কাশ্মীরে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর বন্দোবস্ত এবং দ্রুত উপত্যকার পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস। এ সবই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) করলেন কোনওরকম বাহ্যিক চাপ ছাড়াই। সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় এবং সহযোগিতাপূর্ণ বাতাবরণে। প্রধানমন্ত্রী কোনও বিষয়ে আলোচনার জন্য বাহ্যিক চাপ ছাড়াই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছেন, গত সাত বছরে এমন উদাহরণ একেবারে বিরল। আর কাশ্মীরের মতো ইস্যু নিয়ে সম্ভবত এই প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পর উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরা নিয়ে আশা দেখতে শুরু করেছে।