সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান ও তালিবান-সহ একাধিক বিষয়ে ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও চিন (China)। এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
[আরও পড়ুন: Corovavirus: করোনায় একদিনে মৃত্যু ৯২৯ জনের! পরবর্তী হটস্পট কি রাশিয়া?]
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষের দিকে ভারচুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছেন বাইডেন ও জিনপিং। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রোমে হতে চলা জি-২০ দেশগুলির বৈঠকে আসছেন না চিনা প্রেসিডেন্ট। ফলে সেখানে তাঁর সঙ্গে বাইডেনের বৈঠক হওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার ভারচুয়ালি দুই রাষ্ট্রপ্রধান বৈঠক করবেন। হোয়াইট হাউসের আধিকারিকের কথায়, “প্রেসিডেন্ট (বাইডেন) বলেছেন, অনেকদিন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। ফলে সাক্ষাৎ হলে তাঁর ভাল লাগবে। আমরা আশা করতেই পারি ভারচুয়ালি হলেও একে অপরের সঙ্গে দেখা করবেন।”
গত সেপ্টেম্বর মাসেই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। দুই দেশের মধ্যে চলা প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতের রূপ না নেয়, সেই বিষয়ে চিনা রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তন-সহ একাধিক বিষয়ে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ মজবুত করার বার্তা দিয়েছেন বাইডেন। একইসঙ্গে, বিশ্বে শান্তি, উন্নতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দিকে আমেরিকার দায়বদ্ধতার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। তাইওনে দখল করার হুমকিও দিয়েছেন জিনপিং। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। বিগত জি ৭ বৈঠকের মঞ্চেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) মুখে শোনা গিয়েছে সংঘাতের সুর। এবার দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার সামরিক পদক্ষেপে সেই সুর আরও চড়বে। এহেন পরিস্থিতিতে সংঘাত এড়াতে নির্দিষ্ট নীতি তৈরির কথায় বাইডেন-শি বৈঠকের আলোচনার মূল বিষয় হবে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।