সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সাংবাদিকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাপচারিতায় ভারতীয় মিডিয়ায় প্রসঙ্গে তোলেন তিনি। ভদ্রতার নিরিখে মার্কিন সাংবাদিকদের থেকে অনেক ভাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা, একথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৫তম বৈঠকে যোগ দিতে আমেরিকা যান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বৃহস্পতিবার আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) ।
সাক্ষাৎপর্বের পর যখন সংবাদমাধ্যমকে ডাকার প্রসঙ্গ ওঠে, তখনই বাইডেন বলে ওঠেন, “আমেরিকার সাংবাদিকদের থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা অনেক বেশি ভদ্র ও মার্জিত। আমার মনে হয় এখন কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় সেনা না থাকলে আফগানিস্তানের দশা হত কাশ্মীরেরও’, মন্তব্য ব্রিটিশ সাংসদের]
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই মোদি-বাইডেনের এই বৈঠক আয়োজিত হয়েছে। ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন বাইডেন। মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পরই আফগানিস্তান পুনর্দখল করে তালিবান (Taliban Terror)। যার ফল সারা বিশ্ব দেখেছে এবং দেখছে। এই কারণেই নাকি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলির চক্ষুশূল হয়েছেন বাইডেন।
আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন সাংবাদিকদের প্রশ্নে নাকি বিরক্ত জো বাইডেনও। শোনা যাচ্ছে, এই কারণেই সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলতে চাইছেন তিনি। সে যাই হোক, শুক্রবার ওভাল অফিসে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা করলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। করোনা মহামারী, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোয়াড-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। “আপনার নেতৃত্বে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে নতুন বীজ বপন করা হয়েছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত-আমেরিকা পরস্পরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” বৈঠকে বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন মোদি। অন্যদিকে বাইডেন বলেন, “ভারত-আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই গণতন্ত্রের বন্ধুত্ব। এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ করোনা মহামারী। যতদিন যাবে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হবে।”