সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ’র (CIA) ডিরেক্টর পদে উইলিয়াম বার্নসকে মনোনীত করলেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতেই প্রাক্তন কূটনীতিবিদ বার্নসকে বেছে নিয়েছেন বিডেন বলে খবর।
[আরও পড়ুন: অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা বিশেষজ্ঞদের তদন্তের অনুমতি দিল চিন]
সোমবার বার্নসের হাতে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার দায়ভার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বিডেন (Joe Biden) বলেন, “বার্নস অত্যন্ত দক্ষ কুটনীতিবিদ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁর কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা রয়েছে। দেশ ও জনতাকে তিনি সুরক্ষিত রাখবেন। তিনিও আমার মতোই বিশ্বাস করেন যে গোয়েন্দা কার্যকলাপে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ উচিত নয়। যে গোয়েন্দা অফিসাররা দেশের সেবা করছেন তাঁরা সম্মান ও কৃতজ্ঞতার পাওয়ার অধিকারী।” নয়া প্রেসিডেন্সিয়াল টিমের পক্ষে জারি করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “রাশিয়ার থেকে সাইবার হামলাই হোক বা চিনের ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়গুলি কীভাবে সামাল দিতে হবে তা ভালই জানেন বার্নস। এছাড়া, সন্ত্রাসবাদী ও রাষ্ট্রবহির্ভূত শক্তিগুলির মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে কোন পদক্ষেপ করা উচিত তাও জানেন তিনি। তিনি সিআইএ’র অবস্থান আর মজবুত করে দেশের জনতার সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন।”
মার্কিন বিদেশ দপ্তরে প্রায় ৩৩ বছর কাজ করেছেন উইলিয়াম বার্নস। দুঁদে কুটনীতিবিদ বলে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে কাজপাগল এই আমলার। মার্কিন ক্ষমতার অলিন্দে বার্নসের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন করার মতো লোক সেই অর্থে নেই। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনে ডেপুটি বিদেশ সচিবের পদে কাজ করেছেন বার্নস। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প জমানায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণে সিআইএ-কে ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানে সঙ্গে সংঘাত ও ইসলামিক দেশটির সেনাকর্তা কাশেম সোলেমানির হত্যাও ছিল ট্রাম্পের একটি চাল। কিন্তু বিডেন চাইছেন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গুপ্তচর সংস্থাটি একাগ্র হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করুক। বার্নসের মনোনয়ন সেই দিশায় পঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।