সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা (America) ও রাশিয়া (Russia)। মার্কিন নির্বাচনে ‘হস্তক্ষেপ’ থেকে শুরু করে হ্যাকিংয়ের মতো একাধিক ইস্যুতে মুখোমুখি দুই মহাশক্তি। এহেন পরিস্থিতিতে এবার বৈঠকে বসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
[আরও পড়ুন: আচমকাই রামদেবের করোনিলের বণ্টন বন্ধ করল নেপাল, কেন এমন সিদ্ধান্ত?]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জুনের ১৬ তারিখ সুইজারল্যান্ডে লেক জেনেভার পাশে একটি ভিলায় বৈঠক করবেন বাইডেন ও পুতিন। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে বন্ধু দেশগুলিকে আশ্বস্ত করা উদ্দেশ্যে প্রথম বিদেশ সফর শুরু করেছেন বাইডেন। পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বৈরাচারী মনোভাবকে দূরে সরিয়ে সুস্থ গণতন্ত্রের বার্তা দেবেন বাইডেন, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, বুধবার থেকে শুরু হয়েছে বাইডেনের আটদিনের বিদেশ সফর। এদিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে বাইডেনের। রবিবার উইন্ডসর কাসলে রনি এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ম্যারিল্যান্ডের বিমানঘাঁটি থেকে এয়ারফোর্স ওয়ান-এ চেপে রওনা দেওয়ার আগে রাশিয়কে ফের সতর্ক করেন বাইডেন। কড়া ভাষায় তিনি বলেন, রাশিয়া যেন ‘ক্ষতিকারক কার্যকলাপ’ বন্ধ করে।
উল্লেখ্য, প্রথমেই জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত (কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, ব্রিটেন এবং আমেরিকা) দেশের সম্মেলনে (১১-১৩ জুন) যোগ দিতে ব্রিটেনে যাবেন বাইডেন। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলির বন্ধুত্ব যে এখনও অটুট, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে সেই বার্তাই দিতে চান বাইডেন। নিরাপত্তার কারণে জার্মানির মতো ইউরোপের কিছু দেশ আমেরিকার সাহায্য চায়। কিন্তু, ফ্রান্স আগের মতো আমেরিকাকে এতটা বিশ্বাস করতে বা বাইডেন প্রশাসনের উপর নির্ভর করতে রাজি নয়। বরং তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও স্বায়ত্তশাসন চায়। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বলে রাখা ভাল, মার্কিন মসনদে পালাবদলের পর আরও তিক্ত হয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক। ফের তুঙ্গে পৌঁছেছে দুই মহাশক্তির ঠান্ডা লড়াই। এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে নাক গলানো ও সে দেশে সাইবার হামলা-সহ একাধিক শত্রুতাপূর্ণ কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে সদ্য রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।