shono
Advertisement

লড়াইয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে টেলিভিশন থেকে দূরেই ছিলেন বিডেন, কার কাছে পেলেন সুখবর?

আমেরিকার ভাবী প্রেসডেন্টের পরিবারে ঢুঁ মারা যাক।
Posted: 01:55 PM Nov 08, 2020Updated: 02:00 PM Nov 08, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমানে সমানে টক্কর চলছিল, রীতিমতো দড়ি টানাটানি খেলা। এখানে কিছুটা এগিয়ে তো ওখানে কয়েক ধাপ পিছিয়ে। একটা সময় পর টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবু টেনশন ছিল খানিক। তা কাটাতেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন জো বিডেন (Joe Biden)। শনিবার, স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ পেনসিলভেনিয়া ছিনিয়ে নেওয়ামাত্র টেলিভিশনে বিডেনের জয় ঘোষণা খবর সম্প্রচারিত হয়। আর সেই সুখবরটা ছুটে গিয়ে দাদুকে শোনান নাতনি নাওমি বিডেন। এরপরই পরিবারের সকলের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন তিনি। সেই মুহূর্তটা টুইটারে শেয়ার করেছেন নাতনি।

Advertisement

এই নাতনির সূত্রেই বরং আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্টের পরিবারে একবার ঢুঁ মারা যাক। পেনসিলভেনিয়ার এক ক্যাথলিক পরিবারের ১৯৪২ সালের নভেম্বরে জন্মান জো বিডেন। চার ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন সবচেয়ে বড়। ১৯৬৬তে নেলিয়া হান্টারকে বিয়ে করেন। কিন্তু সাত বছরের মধ্যে ভয়ংকর দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও এক বছরের কন্যাকে হারান। দুই ছেলে জখম হয়। সেই থেকে ব্যক্তিগত জীবনে ধাক্কা শুরু বিডেনের। সেটা ১৯৭২ সাল। সে বছরই প্রথম সেনেটের (Senetor-elect) সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

[আরও পড়ুন: জল মাপছেন শি জিনপিং? জো বিডেনের জয়ে মুখে কুলুপ চিনের]

১৯৭৭ সালে বিয়ে করেন জিল বিডেনকে। তিনি একজন শিক্ষাবিদ। এরপর ২০১৫ সালে ডেলাওয়ারের অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালীন ব্রেন ক্যানসার কেড়ে নেয় ছেলে বিউ বিডেনকে। সেই ধাক্কাও সইতে হয়েছে আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্টকে। স্ত্রী, কন্যা, পুত্র – সবচেয়ে কাছের তিনজনকে হারিয়ে জীবনের গতি রুদ্ধ করে রাখেননি জো বিডেন। ঘুরে দাঁড়িয়ে এগিয়ে গিয়েছেন। সেই রাস্তাই আজ মিশছে হোয়াইট হাউসে (White House)।

[আরও পড়ুন: বিডেনের জয়ে উৎফুল্ল খোদ ট্রাম্পের ভাইঝি, শ্যাম্পেন হাতে পোস্ট করলেন সেলিব্রেশনের ছবি]

হোয়াইট হাউসের পরবর্তী বাসিন্দা হতে চলেছেন দাদু, এই সুখবরটা শনিবার বিডেনকে জানিয়েছিলেন নাতনি নাওমি। সেই মুহূর্তের ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি নাওমি আরেকটি পোস্টও করেন। তাতে লেখা, তাঁর দাদুর কাছে পৌঁছতে হলে, আগের তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তিনি এও লেখেন, ”আমাদের দেখে কিছু মনে না হতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন, আমাদের দাদু কিন্তু জো বিডেন।” আর তাতেই বোঝা গিয়েছে, দেশবাসীর কাছে জনপ্রিয়তার মতোই পরিবারের সদস্যদের কাছেও তিনি কতটা প্রিয়। মার্কিন ইতিহাসে বিডেনই সবচেয়ে বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। এর আগে ৭৭ বছর বয়সি কারও এই পদে বসার রেকর্ড নেই।{gX

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement