সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্য়াটদের প্রার্থী কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই (Joe Biden)? রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে শংসয় ক্রমশ বাড়ছে। একদিকে যেমন ৮১ বছরের বাইডেনকে প্রার্থী করা নিয়ে দ্বিধায় তাঁর দল। তদুপরি একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, শারীরিক কারণে বাইডানের পরিবারও চাইছে ফের ভোটে লড়াই করুন তিনি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে শেষ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বদলে ফেলতে পারে ডেমোক্র্যাট শিবির।
সাম্প্রতিক অতীতে অশীতিপর বাইডেনের ভুল মন্তব্য নিয়ে বারবার জল ঘোলা হয়েছে। রিপাবলিকানরা নিয়ে ঠাট্টা করেছে। এই অবস্থায় ডেমোক্র্যাট শিবিরের অনেকেই মনে করেন, 'তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন।' এবার বিশ্রাম নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এই দাবি জোরালো হয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে অংশ নেওয়ার পরে। ওই বিতর্কসভায় বাইডেনের আচরণ অসংলগ্ন ছিল, তাঁর কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। এমনকী ট্রাম্পের একাধিক বক্তব্যের বিরুদ্ধে ঠিক মতো যুক্তিও সাজাতে পারেননি। বাইডেনের এই দুর্বলতাকে কটাক্ষ করেন প্রতিপক্ষ ট্রাম্প। সব মিলিয়ে বাইডেনকে নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে দল। এখন তাঁকে ছেঁটে ফেলার কৌশলের সন্ধান চলছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: দোকানে থাকতে হবে মালিকের নাম, এবার কানোয়ার যাত্রার সব রুটেই নির্দেশিকা জারি যোগীর]
সূত্রের খবর, বাইডেনের পরিবারের মধ্যেই তাঁকে সরানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। ডেমোক্র্যাটদের জয় নিশ্চিত করেও শেষ মুহূর্তে কীভাবে বাইডেনকে সরানো যায়, তার ছক কষছে বাইডেন পরিবার। প্রার্থী বদল করলে তার প্রভাব যাতে ভোটবাক্সে না পড়ে, তা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য। যদিও বাঁধ সাধছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি অনড়। ইতিমধ্যে মধ্যে দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে লড়লে এবং জিতলে আরও পাঁচ বছর এই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। এমনকী তাঁর স্বাস্থ্যের সম্পর্কে রটনা চলছে বলেও দাবি করছেন বাইডেন।
[আরও পড়ুন: সংরক্ষণে ‘না’, আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ ওপার বাংলা, প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা]
সম্প্রতি নিজের সমর্থকদের বাইডেন বার্তা দিয়েছেন, "আমি আগের মতো কথা বলতে পারি না, আগের মতো তর্ক করতে পারি না, কিন্তু আমি এখনও সত্য কথা বলতে পারি। ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হলে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তাম না।" এর পরেও অবশ্য ডেমোক্র্যাটদের একটা বড় অংশ আগামী নভেম্বরের ভোটে নতুন প্রেসিডেন্ট চাইছেন। দৌড়ে আছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামা প্রমুখ।