আকাশ মিশ্র: ইতিহাস বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে ছবি তৈরি করা বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। কেননা, এই ধরনের ছবিতে তথ্যগুলোকে খুবই যত্নে গল্পের মধ্যে নিয়ে আসতে হয়। আবার এমনভাবে তা উপস্থাপন করতে হয় যাতে ফিকশনের স্বাদটাও থাকে। নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পাওয়া পরিচালক আলি আব্বাস জফরের ছবি ‘যোগী’ ঠিক এমনই এক ছবি, যেখানে উপরের প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্যই একেবারে সঠিকভাবে জায়গা করে নেয়।
আলি আব্বাস জাফর এই ছবির প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নিয়েছেন ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গাকে। যেখানে উঠে এসেছে বেঁচে থাকার এবং অস্তিত্বের লড়াই।
ছবি শুরু থেকেই হৃদয়ে আঘাত দেবে। প্রথম দৃশ্যে যেভাবে এক বার্থডে পার্টিকে সঙ্গে করে গল্প একেবারে অন্য মোড় নেয়, তা সত্যিই তাক লাগায়। এখানে আরেকটি দৃশ্যের কথাও বলতে হয়। ছবির এক জায়গায় এক দোকানদারের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার দৃশ্য়ও গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো।
যোগী ছবিতে এমনই কিছু বিভৎস দৃশ্যে রয়েছে যা কিনা সোজা মস্তিষ্কে গিয়ে আঘাত করবে। সে হিসেবে দেখলে দাঙ্গার চেহারাকে খুব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধরতে সমর্থ এই ছবি।
[আরও পড়ুন: গল্পকে ছাপিয়ে গেল দুরন্ত গ্রাফিক্স, বলিউডের অ্যাভেঞ্জার্স হয়ে উঠবে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’? পড়ুন রিভিউ]
ছবির গল্প মূলত, যোগী অর্থাৎ দিলজিতকে ঘিরেই। যে যোগীর উদ্দেশ্যই হল তার দাঙ্গা পরিস্থিতিতে নিজের প্রিয়জনের প্রাণ বাঁচানো। আর এই প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে যোগীর উপলদ্ধিই ছবির সারমর্ম।
যোগী একেবারেই অভিনয় নির্ভর ছবি। বিশেষ করে অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্ঝ অসাধারণ। বলা ভাল তাঁর অভিনয় এই ছবির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তবে শুধুই দিলজিৎ নয়, হিতেন তেজওয়ানি, জিশান বেশ ভাল।
তবে এতকিছু ভাল থাকলেও, ছবির গতি একটু শ্লথ। ছবির দৈর্ঘ্য আরেকটু অল্প হলে ভাল হত। শেষমেশ বলা যায়, ‘যোগী’ দেখার মতো একটি ছবি। বিশেষ করে দিলজিতের অভিনয়ের জন্য এই ছবি দেখা যায় বারবার।