শান্তনু কর ও রাজ কুমার: মনোজ টিজ্ঞার ‘ফুসমন্ত্রে’ই নাকি আলিপুরদুয়ারে টিকিট পাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। বদলে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞাই। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বার্লা। লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী নেতার ‘লাভা উদগীরণ’ নিয়ন্ত্রণে আনতে ও দলের অন্দরে বুধবার সকালে তড়িঘড়ি বিদায়ী সাংসদের বাড়িতে ছুটলেন প্রার্থী মনোজ। যদিও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি ‘ক্ষুব্ধ’ সাংসদ। অন্য কাজ আছে বলে এড়িয়ে যান বিজেপি প্রার্থীকে।
শনিবার দুপুরেই দিল্লি গিয়েছিলেন জন বার্লা। ওই দিন সন্ধেতেই বিজেপি আলিপুরদুয়ার লোকসভা-সহ এই রাজ্যের ২০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। আর তাতেই জনের টিকিট না পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন জন বার্লা। মঙ্গলবার সেই ক্ষোভ সংবাদমাধ্যমের সামনে উগরে দেন জন।
[আরও পড়ুন: খেসারত দিতে হবে ৩ কোটি টাকা! পাকিস্তান থেকে সীমা হায়দরকে আইনি নোটিস প্রাক্তন স্বামীর]
তিনি বলেন, “মনোজ টিজ্ঞা বিধায়কদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আমার বদনাম করেছে। নিজে টিকিট পাওয়ার জন্য এসব করেছে মনোজ। ও কোনওদিন আদিবাসীদের জন্য আন্দোলন করেনি। উলটে আদিবাসীদের সঙ্গে ছলচাতুরি করল। মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আমি প্রচারে গিয়ে মার খেতে রাজি নই।” সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন?” উত্তরে জন বার্লা বলেন, “আমি আমার লোকেদের ছেড়ে কোথায় যাব? আমি এখানেই থাকব। অন্য কোথাও আমার প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে নেই। তবে আমরা সব আদিবাসীরা এক হয়ে যাব।” এদিন সেই ‘অভিমান’ ভাঙাতে তড়িঘড়ি জন বার্লার বাড়িতে ছোটেন মনোজ। কিন্তু দেখা হয়নি। এ প্রসঙ্গে মনোজ বলেন, “কাঞ্চনকন্যা এবার থেকে মাদারিহাটে দাঁড়াবে। আজ থেকে শুরু হবে এটা। সেখানেই ব্যস্ত রয়েছেন জন বার্লা। তাই দেখা হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য বলছেন, কাল ওরা আমাকে ফোন করেছিল। আমি বলেছি, বাড়িতে আসতেই পারেন, কিন্তু আমি দেখা করব না।”
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে গত লোকসভা ভোটে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি প্রার্থী জন বার্লা। তার পরে তাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করে বিজেপি। কিন্তু এবার লোকসভা ভোটে তাকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। এদিন সেই রাগ উগরে দিয়েছেন সাংসদ। এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “ আমাদের দলে নীতি নির্ধারন কমিটি প্রার্থী ঠিক করে। এটা উনি জানেন না। আমি এখন এর বেশি কিছু বলব না।” যদিও সেই যুক্তি মানতে চাননি বার্লা। জনের এই অবস্থানে মহা ফাঁপরে বিজেপি।