সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন জর্ডনের যুবরাজ হামজা বিন হুসেইন। উদ্দেশ্য, সে দেশের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাকে উৎখাত করা।” যুবরাজকে গৃহবন্দি করার পর এমনটাই জানালেন জর্ডনের বিদেশমন্ত্রী আয়ামান সাফাদি।
স্থানীয় সময় অনুযায়ী শনিবার হামজা বিন হুসেইনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ২০ জন। এই ঘটনার একদিন পর জর্ডনের তরফে সরকারি বিবৃতি দেওয়া হল। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদেশি শক্তির সাহায্যে দেশের নিরাপত্তা নষ্ট করার গোটা পরিকল্পনা করা ও বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন খোদ যুবরাজ। একবারে অন্তিম মুহূর্তে ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আসে। ফলে তাদের অশান্তি পাকানোর ছক ভেস্তে যায়। তবে একা যুবরাজ নয়, এই কাজে তাকে সাহায্য করছিলেন দুই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকও। তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অপরাধে আরও ১৬-১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যদিও ভিডিও প্রকাশ করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন বাদশাহের বৈমাত্রিয় ভাই তথা যুবরাজ হামজা বিন হুসেইন।
[আরও পড়ুন : বহু সময় বোতলেই প্রস্রাব করতে হয় আমাজন কর্মীদের! অভিযোগ মেনে নিল ই-কমার্স সংস্থা]
জর্ডনের বিদেশমন্ত্রী আয়ামান সাফাদি আরও জানিয়েছেন, বেশকিছু দিন ধরেই সে দেশের গোয়েন্দারা যুবরাজ ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখছিলেন। এমনকী, জর্ডনের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন কাজকর্ম থেকে যুবরাজকে বিরত থাকার আবেদনও জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আরজি তিনি খারিজ করে দেন। এর পরই গোটা বিষয়টি জর্ডনের বাদশাহকে জানানো হয়। তবে কোন বিদেশি শক্তির সঙ্গে যুবরাজ হাত মিলিয়ে জর্ডনের ক্ষতি করতে চাইছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট করেনি সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। তবে যুবরাজকে গৃহবন্দী করার পর জর্ডনের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় আন্তর্জাতিক মহল।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত নবাব হুসেইনি ও তাঁর মার্কিন বংশোদ্ভূত স্ত্রী নুরের ছোট ছেলে হামজা। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লার সৎ ভাই তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আবদুল্লার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হামজার দাবি, সেই মন্তব্যের প্রতিশোধ নিতেই তাঁকে তাঁর আম্মানের বাড়িতে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জর্ডন সেনা অবশ্য এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে।