সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বর্গের শয্যা৷ দু’পাশে দুই মহিলা৷ মধ্যমণি দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি৷ সিগারেটে সুখটান দিচ্ছেন৷ পর্দা সরিয়ে উঁকি মারছেন ‘ঈশ্বর’৷ ঈশ্বরকে সুরা ও কাজু পরিবেশনের নির্দেশ ওই ব্যক্তির৷ গত মাসে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই কার্টুন ছবিটিই পোস্ট করেছিলেন নাহিদ হাত্তার৷ তার মাশুল দিতে হল রবিবার৷ ইসলাম অবমাননার দায়ে বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হলেন জর্ডনের প্রখ্যাত লেখক৷
ছবিটি শেয়ার করার পরেই তা তুলে নিয়েছিলেন হাত্তার৷ জানিয়েছিলেন, ইসলামকে আক্রমণ তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না৷ ঈশ্বর ও স্বর্গ বিষয়ে সন্ত্রাসবাদীদের ভ্রান্ত ধারণাকে ব্যঙ্গ করতেই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন৷ ততক্ষণে অবশ্য যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে৷ হাত্তারের অনুতাপে চিঁড়ে ভেজেনি তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা জর্ডনের মুসলিমদের৷ তাঁরা উষ্মা প্রকাশ করেন৷ ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ‘ভারচুয়ালি’ কোণঠাসা করে দেওয়া হয় ৫৬ বছরের এই লেখককে৷
সাম্প্রদায়িক বিবাদ সৃষ্টি ও ইসলাম অবমাননার অভিযোগে ১৫ দিনের কারাদণ্ড হয় নাহিদ হাত্তারের৷ ১৩ আগস্ট গ্রেফতার হন তিনি৷ সেপ্টেম্বরের শুরুতে জামিনে মুক্তিও পান৷ রবিবার আদালতে তোলা হয় তাঁকে৷ এদিন আম্মানের আবদালি জেলার প্যালেস অফ জাস্টিসের বাইরেই এক বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হন হাত্তার৷ আদালতের সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে তাঁর বুকে এসে লাগে তিনটি গুলি৷
হাত্তারের খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়াদ আবদল্লা নামে এক যুবককে৷ এলাকায় চরমপন্থী বলেই পরিচিত সে৷ হাত্তারের মতো লেখকের মৃত্যুতে নিন্দায় সরব হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার বাসিন্দারা৷ সরকারের বিরুদ্ধেই এই হত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছে লেখকের পরিবার৷