সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দর্শকদের ভালবাসার প্রত্যুত্তরে গোল করে সমর্থরদের মুখে হাসি ফোটাতে চান জেমি ম্যাকলারেন।
১৫৪ গোল করে ‘এ’ লিগের সর্বকালীন সর্বোচ্চ গোলদাতা এই মরশুমে খেলবেন মোহনবাগান জার্সিতে। এদিন আরপিএসজি ভবনে একপাশে ম্যাকলারেন এবং আরেকপাশে কোচ মলিনাকে বসিয়ে চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বলছিলেন, ''এই মুহূর্তে আমাদের দলে তিনজন বিশ্বকাপার, যা এই মুহূর্তে আইএসএলের কোনও দলের নেই। এই মরশুমেও আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা করব।''
এই প্রথম নয়। মলিনা এর আগেও কলকাতায় কোচিং করিয়ে দলকে আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন করে গিয়েছেন। তখন অবশ্য দলের নাম ছিল ‘এটিকে’। মোহনবাগানের কোচ হিসেবে ফের কলকাতায় ফিরে মলিনা বলছিলেন, ''শুধু ভারতের নয়। এশিয়ার অন্যতম বড় ক্লাব মোহনবাগান। এই দলকে চ্যাম্পিয়ন করাই আমার লক্ষ্য।''
[আরও পড়ুন: বল হাতে মিরাক্যাল সূর্য-রিঙ্কুর, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সুপার ওভারে শ্রীলঙ্কাকে হারাল টিম ইন্ডিয়া]
তাঁর এই লক্ষ্যে শুরুতেই ডুরান্ড কাপ। যেখানে পরবর্তী ম্যাচ ৮ আগস্ট ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই ডুরান্ডকে আইএসএলের প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখতে চাইছেন কি না জিজ্ঞাসা করা হলে মলিনা বলেন, ''যেখানে খেলব, সেখানেই জেতার চেষ্টা করতে হবে। এটাও ঠিক সবে প্র্যাকটিস শুরু হয়েছে। তবে ডুরান্ড আমাদের জন্য প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা নয়। ম্যাচের দিন আমাদের হাতে যে ফুটবলাররা খেলার মতো পরিস্থিতিতে থাকব, তাদের মধ্যে থেকে সেরা একাদশকেই খেলাব।''
দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিন্সের পর যে মুহূর্তে মোহনবাগান সমর্থকরা জানতে পারেন, জেমি ম্যাকলারেন যোগ দেবেন, শুরুটায় অকল্পনীয় মনে হলেও শেষ পর্যন্ত মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান তারকা ফুটবলারের হাতে ২৯ নম্বর জার্সিটা তুলে দিতে পেরেছে। যে মুহূর্তে মোহনবাগান থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন, সেই সময় মধ্য প্রাচ্যের কিছু ক্লাবও পড়েছিল ম্যাকলারেনের পিছনে। তারপরেও অস্ট্রেলিয়ান তারকা বেছে নিয়েছেন মোহনবাগান জার্সিকে।
এর পিছনের কারণ বলতে গিয়ে এদিন ম্যাকলারেন বললেন, ''আমি সব সময় চ্যাম্পিয়ন হতে ভালবাসি। আর মোহনবাগানও আমার মতোই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। তাই মনে হয়েছিল, এই ক্লাবে সই করা যায়। তার উপর আমার কিছু সতীর্থ দিমিত্রি, কামিন্সরাও মোহনবাগানে খেলছে। এখানকার কালচার সব কিছু দেখে মনে হয়েছে মোহনবাগানের সই করাটাই আমার জন্য একদম ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত।''
কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর যেভাবে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা ম্যাকলারেনকে অভর্থনা জানিয়েছেন, তাতে তিনি অভীভূত। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলছিলেন, ''আমি কল্পনা করতে পারিনি, আমার আসাকে কেন্দ্র করে সমর্থকরা এরকম উচ্ছ্বাস দেখাবে। সমর্থকদের এর উপহার হিসেবে গোল করে দলকে ম্যাচ জেতাতে চাই। তবে বিমান বন্দর থেকে আসার সময় ক্রমান্বয়ে একটা কথাই শুনে গিয়েছি, ডার্বি…ডার্বি। জানি পৃথিবীর সব দেশেই ডার্বি ঘিরে অন্যরকম উত্তেজনা থাকে। এখানকার একটা ডার্বি আমি দেখেছি। প্রায় ৬০ হাজার উপর মানুষ উপস্থিত থেকে দলকে উদ্বুদ্ধ করছিল। আমিও অপেক্ষা করছি ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য।''
এদিন সাংবাদিক সম্মলনে আনোয়ারের প্রসঙ্গও উঠে আসে। সম্ভবত ২ আগস্ট ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে আনোয়ারকে নিয়ে মিটিং। তার আগে আনোয়ার প্রসঙ্গে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বললেন, ''আনোয়ার আমাদের খুবই প্রিয় ফুটবলার। ওকে নিয়ে আমাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে, সেটা সাংবাদিক সম্মেলনে নিশ্চয়ই সবার সঙ্গে শেয়ার করব না।''
[আরও পড়ুন: পছন্দ ছিল অন্য পাঁচ খেলা, তবু কেন শুটিংকেই বেছে নিলেন মনু?]