shono
Advertisement

মেসেজ বিতর্কে পালটা চাপ! ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলার হুমকি অভিযুক্ত সাংবাদিকের

ঋদ্ধি তাঁর পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট বিকৃত করেছেন, দাবি সাংবাদিকের।
Posted: 10:43 AM Mar 06, 2022Updated: 10:43 AM Mar 06, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) বনাম সাংবাদিক বিতর্কে নতুন পর্ব যোগ হল। ঘটনা নাটকীয় দিকে মোড় নিল শনিবার। এ দিন নয়াদিল্লি উড়ে গিয়ে বঙ্গ উইকেটকিপার বোর্ড কমিটির কাছে যা জানতেন, সব বলে এলেন। আর রাতের দিকে হঠাৎ সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার (Boria Majumdar) সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিকে আক্রমণ করে লিখলেন, ‘প্রতিটা কাহিনীর দু’টো দিক থাকে। ঋদ্ধিমান সাহা আমার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিকৃতি ঘটিয়েছেন। যা আমার সুনাম নষ্ট করেছে। আমি বোর্ডের কাছে স্বচ্ছ শুনানি চাই। ঋদ্ধিমানকে আমার আইনজীবীরা মানহানির নোটিস পাঠাবে। সত্যিটা বেরিয়ে আসুক।’

Advertisement

এখানে বলে রাখা ভাল, দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে দিয়েছিলেন। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ঋদ্ধিমান তাঁকে সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় সেই সাংবাদিক তাঁকে লিখেছেন যে, ‘তুমি আমাকে ফোন করলে না। আমি কখনও আর তোমার সাক্ষাৎকার নেব না। আমি অপমান ভাল ভাবে নিই না। আমি এটা মনে রাখব।’ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর অতীতের তাবড় ক্রিকেটাররা ঋদ্ধিমানকে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করতে বলেন। ঋদ্ধি প্রথমে বলেননি। বলে দেন, কারও কেরিয়ারের ক্ষতি করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু বোর্ড (BCCI) তিন সদস্যের কমিটি বসিয়ে দেয়। বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল-সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিল সদস্য প্রভতেজ সিং ভাটিয়াকে নিয়ে।

[আরও পড়ুন: কোন সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন? বিসিসিআইকে জানিয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা]

শনিবার নয়াদিল্লিতে ঋদ্ধিমানকে ডাকা হয়েছিল কমিটির প্রথম শুনানিতে (যেখানে আবার আশ্চর্যজনক ভাবে কোনও কোনও শীর্ষকর্তার সহচরদের দেখা গিয়েছে, যাঁদের থাকার কথাই নয়)। যে শুনানি শেষে ঋদ্ধিমান বলে দেন, “আমার যা জানা ছিল, সব কমিটিকে বলে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলব না।” পরে বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল ফোনে বলে দেন, “আমাদের যা জানার ছিল, জেনে নিয়েছি। এরপর রিপোর্ট তৈরি করে বোর্ডকে পাঠাব। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বোর্ড নেবে।”

[আরও পড়ুন: মহিলা বিশ্বকাপে নয়া রেকর্ড মিতালির, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সম্মানজনক স্কোর ভারতের]

এরপর রাতের দিকেই ঋদ্ধিমানকে নোটিস ধরানোর কথা ঘোষণা করলেন সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার। দাবি করলেন, ঋদ্ধি তাঁর পাঠানো মেসেজের স্ক্রিনশট বিকৃত করে পোস্ট করেছেন। মানুষের সমবেদনা পেতে তাঁর সম্মানহানি করেছেন। যার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা শুরু হল, ঋদ্ধিমান বা বোর্ড কোথাও সাংবাদিকের নাম প্রকাশ্যে আনেনি এখনও। অথচ সেই সাংবাদিকই সেটা আগেভাগে বলে দিলেন। বোর্ডের কোনও কোনও অংশ পুরো ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ। কেউ কেউ বলছেন, দু’পক্ষের মেসেজ চালাচালি বিভিন্ন তারিখে হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে, মেসেজের মাধ্যমে আদতে হুমকিই দেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর ভাবে দেখলে খেলাটার বিশুদ্ধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, একজন ক্রিকেটারকে মাঠের বাইরে কতটা চাপে পড়তে হয়। বোর্ড আর আইসিসির (ICC) কাজই হল এ রকম পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারকে সুরক্ষা দেওয়া। নইলে ক্রিকেটের বিশুদ্ধতাই বিশাল ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement