সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবরাত্রি (Navratri) অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। দক্ষিণ দিল্লিতে মাংসের দোকান বন্ধ করার পরে নামী সংস্থা ‘হলদিরামসে’র (Haldiram) দিকে আঙুল উঠেছে। নবরাত্রির জন্য তৈরি করা চানাচুরের প্যাকেটে উর্দুতে লেখা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঠিক কী ঘটেছে? হলদিরাম’স একটি নতুন চানাচুর তৈরি করেছে যা নবরাত্রির উপোস চলাকালীন খাওয়া যেতে পারে। এই চানাচুরের নাম ফলহারি (Falahari) মিক্সচার। চিনা বাদাম এবং আলুভাজার সঙ্গে সামান্য মশলা মিশিয়ে এই চানাচুর তৈরি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্যাকেটে উর্দু ভাষার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি এবং হিন্দিতেও চানাচুরের (Snacks) বিবরণ লেখা রয়েছে। নিরামিষ খাবারের জন্য নির্ধারিত সবুজ রঙের দেওয়া রয়েছে প্যাকেটের গায়ে। কিন্তু তার পরেও একজন অনবরত প্রশ্ন করছেন হলদিরামের দোকানের এক মহিলা কর্মচারীকে।
[আরও পড়ুন: নবরাত্রির সময় বন্ধ রাখতে হবে মাংসের দোকান, দিল্লি পুরসভার নয়া ফরমানে বিতর্ক]
কী ধরনের প্রশ্ন উড়ে এসেছে ফলহারি মিক্সচারের প্যাকেট নিয়ে? ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি সংবাদ চ্যানেলের মাইক হাতে নিয়ে একজন মহিলা প্রশ্ন করছেন, “কেন উর্দুতে (Urdu) লেখা হয়েছে? আপনারা উর্দুতে লিখে কী লুকাতে চাইছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে?” দোকানের কর্মচারী উত্তরে জানান, “এটা খেলে কোনও সমস্যা হবে না।” কিন্তু বারংবার একই প্রশ্ন করতে থাকেন ওই মহিলা। শেষে দোকানের কর্মচারী জানান, “আপনি এটা নিতে চাইলে নিয়ে নিন। আর না নেওয়ার হলে প্যাকেট রেখে চলে যান।”
কিন্তু তাতেও প্রশ্ন করা শেষ হয়নি। ব্যঙ্গাত্মক সুরে দোকানের কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “কী আছে এতে? কোনও প্রাণিজ তেল?” শান্তভাবে কর্মচারী জানিয়ে দেন, “আপনার যা খুশি ভাবতে পারেন। আমি এই ধরনের ব্যবহার সহ্য করব না।” তিনি আরও বলেন, এই দোকানে অনেক ক্রেতা আসেন যাঁরা উর্দু, ইংরেজি, হিন্দি সব ভাষা বোঝেন। আপনি পড়তে চাইলে আপনার জানা ভাষাতেই পড়ুন।” শেষ পর্যন্ত কী হয়েছে তা অবশ্য ভিডিওটিতে দেখা যায়নি।
ভিডিওটি রীতিমতো ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। হলদিরামের পাশে দাঁড়িয়ে যেমন অনেকে মুখ খুলেছেন, তেমনি বিরুদ্ধ মতও পোষণ করেছেন বেশ কিছু নেটিজেন। সংবিধান মতে উর্দু ভারতের অন্যতম স্বীকৃত ভাষা। এহেন ঘটনা বাকস্বাধীনতার অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে নেটদুনিয়ায়।