দীপালি সেন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার মোট ১৩ জন। এদের মধ্যে অনেকেই প্রাক্তনী। তবে অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে বারবার যার নাম উঠে আসছিল, সেই অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু, ঘটনার পরদিন থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। ঘটনার ১৩ দিন পর মঙ্গলবার আত্মপ্রকাশ করলেন ‘আলু’। দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে (Facebook post) নিজের অনুপস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দিলেন। শেষে এও জানালেন, বাঁশদ্রোনিতে নিজের ফ্ল্যাটেই রয়েছেন, তদন্তে সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত এবং যাদবপুর হস্টেল ও ক্যাম্পাস র্যাগিং-মুক্ত হোক, তা তিনিও চান।
অরিত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (Civil Engineering) বিভাগে গবেষণা করেন। ৯ আগস্ট রাতে মেন হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর পর ১০ তারিখই কলকাতা ছাড়েন তিনি। চলে যান কাশ্মীরে, গ্রেট লেকসে ট্রেকিং (Trekking) করতে। আর সেই এলাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। সেই কারণে এতদিন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফেসবুক পোস্টে এমনই দাবি করেছেন অরিত্র ওরফে আলু। তার আগে বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি হস্টেলে যাচ্ছিলেন না বলে দাবি তুলে করে তাঁর প্রশ্ন, সেক্ষেত্রে কীভাবে এই ঘটনায় জড়িত থাকা এবং প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মতো অভিযোগ উঠছে তাঁর বিরুদ্ধে? তিনি ‘ষড়যন্ত্রকারী’, ‘পলাতক’ – এসব প্রচারের ক্ষেত্রের কার্যত সংবাদ মাধ্যমকেই দায়ী করেছেন অরিত্র।
[আরও পডু়ন: ‘ব্যর্থতা মানতে পারছি না’, লুনা-২৫ ভাঙার পরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রুশ বিজ্ঞানী]
এরপর অবশ্য তাঁর আত্মবিশ্লেষণ, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর উচিত হয়নি কলকাতা ছেড়ে যাওয়া। তবে এই মুহূর্তে অরিত্র কলকাতায় ফিরেছেন। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে তিনি রাজি। কলকাতায় ফিরে এসেছেন এবং বাঁশদ্রোণিতে নিজের ফ্ল্যাটেই তাঁকে পাওয়া যাবে বলে জানান সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষক। পাশাপাশি তিনি চান, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে গোটা ঘটনার তদন্ত এবং যাদবপুর হস্টেল ও ক্যাম্পাস র্যাগিং-মুক্ত হোক। তবে তদন্তকারীদের একাংশের মত, যতটা সহজ-সরলভাবে নিজের ‘অন্তর্ধান’ নিয়ে ব্যাখ্যা দিচ্ছে অরিত্র, তা ততটাও সহজ নয়।