সম্যক খান, মেদিনীপুর: ভোট মিটতেই বিশ্রামের মুডে চলে গিয়েছেন সকলে। কেউ মোবাইল ফোন পুরোপুরি সুইচড অফ করে রেখে দিয়েছেন, কাউকে দশবার ফোন করলে একবার ধরছেন। মেদিনীপুরে নেই তারকা প্রার্থীরাও। মেদিনীপুরে ভোট মিটতেই রবিবার কলকাতা চলে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। সোমবার কলকাতা পাড়ি দিলেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া। দুজনেই জয়ের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে একশো শতাংশ গ্যারান্টি দিলেও যারপরনায় চিন্তার ছাপ স্পষ্ট উভয়েরই চোখেমুখে।
এবারের নির্বাচন এতটাই চুপচাপ হয়ে গিয়েছে যে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল এবং বিজেপির পোড়খাওয়া নেতারাও বুঝতে পারছেন না যে জনতার মুড কোন দিকে। দীর্ঘদিনের আরএসএস করা বিজেপির এক নেতার কথায়, তিনি নিজে মেদিনীপুর শহরের একটি বুথে দলের পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসেছিলেন। অন্যান্যবার যেভাবে ভোটাররা ভোট দিয়ে তাঁদের দিকে মুচকি হাসি দিয়ে বের হতেন এবার সেধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটেছে। ফলে ভোটারদের মতিগতি বোঝা বড় মুশকিল হয়ে গিয়েছে। ভোটাররা মন খুলে সেভাবে আর কাউকে কিছু জানাতেও চাইছেন না। তবে নেতারা সকলেই তাকিয়ে আছেন খড়গপুর শহরের দিকে। রেলনগরী যে বিজেপিকে লিড দেবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু সেই লিড কতটা হবে তার উপরই নির্ভর করছে দুই তারকা প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।
[আরও পড়ুন: আরও বাড়ল গরমের ছুটি, কবে খুলবে স্কুল?]
এদিন প্রাথমিক হিসেব নিকেশে বসার কথা ছিল তৃণমূল নেতাদের। কিন্তু তা হয়নি। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, গত দুমাস ধরে নেতাকর্মীদের অমানসিক পরিশ্রম হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকেই ক্লান্ত। তার উপর গণনাও এখন কিছুটা দেরি আছে। ফলে সকলকেই এখন একটু বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। দু-একদিন পর আবার গণনার বিষয়টি নিয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে সুজয়বাবুর দাবি, তারা এবার ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন। খড়গপুরই তাঁদের পাখির চোখ। তাঁর কথায়, রেলনগরীতে বিজেপিকে কুড়ি হাজার লিডের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারলেই তারা কেল্লাফতে করে দেবেন। অপরদিকে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের দাবি, তাদের এবার ব্যবধান গতবারের থেকেও বেশি হবে। লক্ষাধিক ভোটে তাঁরা জিতবেন।