সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন, পুজো কার্নিভালের দিন দ্রোহের কার্নিভাল কর্মসূচি পালন প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছিল আগেই। রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব এনিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠনকে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আটটি চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধি দুপুরে বৈঠকে যোগ দিলেন। তবে এই বৈঠক থেকে নিশ্চিত কোনও রফাসূত্র বের হওয়া কঠিন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এটা স্রেফ সলতে পাকানোর বৈঠক হয়েই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে নির্ধারিত সময়মতো স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে পৌঁছন আইএমএ, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ফেমা-সহ মোট ৮ চিকিৎসক সংগঠনের ২ জন করে প্রতিনিধি। পৌঁছন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তবে এই বৈঠকে নেই স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। যাঁর অপসারণ জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম দাবি। দুপুর ১টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয় বলে খবর। স্বাস্থ্যভবনের এই বৈঠকে চিকিৎসক সংগঠন ছাড়াও যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাম, অতিবাম মনস্ক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে বৈঠকে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যসচিব আগেই ইমেলের মাধ্যমে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার অর্থাৎ পুজো কার্নিভালের দিনই তারা যে দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দিয়েছে, তা যেন প্রত্যাহার করে। কিন্তু এই আবেদনে সাড়া দিতে নারাজ প্রতিবাদীরা। ওইদিন দ্রোহ কার্নিভালের কর্মসূচিতে অনড় জেপিডি। সূত্রের খবর, যদি রাজ্য সরকার আন্দোলনকারীদের সমস্ত দাবি মেনেও নেয়, তাহলেও একটি দাবিপূরণ সম্ভব নয়। তা হল স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবি, যা মেনে নেওয়া কার্যত রাজ্যের পক্ষে কঠিন।
কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, প্রশাসনিক রদবদলের বিষয়টি একেবারেই রাজ্য সরকারের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই রাজ্য সরকার না চাইলে এই স্তরে রদবদল কার্যত অসম্ভব। সেক্ষেত্রে বৈঠকের পর চিকিৎসক সংগঠনের প্রতিনিধিরা যদি সরকারের বার্তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে যান, তাহলেও জট কাটার আশু সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে স্রেফ একটি দাবিকে সামনে রেখেই অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এদিন স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরাও। সেখান থেকে কী বার্তা মেলে, তার ভিত্তিতে জেনারেল বডির বৈঠক হতে পারে আজ।