ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ যেন ভাঙা হাট! খোলা হচ্ছে ত্রিপল। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে চৌকি। এমনকী, ছাউনিতে থাকা স্ট্যান্ড ফ্যানগুলিও সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ডেকোরেটার্সরা। এমনকী, একাধিক নম্বর থেকে উড়ো ফোন আসছে বলেও দাবি। কার নির্দেশে এসব হচ্ছে তা জানেন না আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের দাবি, 'ফোনে নির্দেশ আসছে।' কে বা কারা নির্দেশ দিচ্ছেন তা স্পষ্ট নয়। নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করছেন ডাক্তাররা।
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। চতুর্থ ও পঞ্চম দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তার পরেও বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। ফলে বৈঠক হলেও সমাধান অধরাই ছিল। রাতে নবান্ন থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলনস্থলে ফিরে আসেন তাঁরা। অথচ রাতেই দেখা যায় আন্দোলনকারীদের ছাউনি, বাঁশ খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের আপত্তিতে বন্ধ হয় ছাউনি খোলা।
সরানো হচ্ছে স্ট্যান্ড ফ্যান। নিজস্ব চিত্র।
এদিন বেলা গড়াতেই দেখা যায় সেই একই ছবি। ডেকোরেটার্সরা ছাউনি, বাঁশের পাশাপাশি স্ট্যান্ড ফ্য়ানও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। সরানো হয় চৌকিও। তীব্র গরমের মধ্যে হাতপাখা নিয়ে ধরনা মঞ্চে বসে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে দাঁজডাতে সাহায্য় চাওয়া হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু কারা, কেন এই ঘটনা ঘটাচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ডেকোরেটার্সের কর্মীদের দাবি, এখান থেকে বাঁশ, চৌকি, ফ্যান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের কাছে নির্দেশ আছে। কে নির্দেশ দিয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, এ নেপথ্যে চক্রান্ত রয়েছে। সরকার এ কাজ করছে না। সরকার আন্দোলন তুলে দিতে চাইলে নোটিস দিত। এর নেপথ্যে অন্য কোনও শক্তি ষড়যন্ত্র করছে বলেই দাবি তাঁদের। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন তাঁরা। সূত্রের দাবি, পুলিশের তরফে ডেকোরের্টাসদের কাছে ফোন গিয়েছে। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ সহযোগিতা করছে। ছাউনি-বাঁশ-স্ট্যান্ডফ্যান তো আমজনতার দেওয়া। কেউ যদিও এবার এই বাবদ টাকা দিতে না চায়, তাহলে তো ডেকোরেটার্স সরিয়ে নিয়ে যাবেই।