shono
Advertisement

খুনের রাজনীতি জুন্টার, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে মায়ানমারের গ্রাম

ভয়ে দেশ ছাড়ছেন মায়ানমারবাসী।
Posted: 01:08 PM Jun 17, 2021Updated: 01:24 PM Jun 17, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমার (Myanmar) সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যত গড়ে উঠছে ততই আমজনতার উপর আক্রোশ বাড়ছে তাদের। প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতে এলোপাথারি গুলি, মারধর, গ্রেপ্তারি কোনও কিছুই বাকি রাখেনি জুন্টা। এবার গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে তারা। মিটিয়ে নিচ্ছে যাবতীয় আক্রোশ।

Advertisement

মায়ানমারের একেবারে মধ্যভাগে অবস্থিত ম্যাগওয়ে অঞ্চলের কিনমা গ্রাম। প্রায় ২৫০ বাড়ি ছিল গ্রামটিতে। বুধবারের পর হাতেগোনা ১০টি বাড়ি অবশিষ্ট রয়েছে সেই গ্রামে। বাকি সমস্ত বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে জুন্টা। স্থানীয় সূত্রে খবর তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণে বাঁচেনি গবাদি পশুও। নির্মম আক্রোশ মেটাতে অবলা প্রাণীদেরও ছাড়েনি তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে জ্বলতে থাকা গ্রামের ছবি।

[আরও পড়ুন: রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বাইডেন-পুতিন, কূটনৈতিক সৌজন্যের মাঝেও মিলল উত্তেজনার আভাস]

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা আগেভাগে খবর পেয়ে গিয়েছিলেন জুন্টা বাহিনী হানা দিতে চলেছে। প্রাণ বাঁচাতে গভীর জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গ্রাম ছেড়ে যেতে পারেননি এক বৃদ্ধ দম্পতি। জুন্টা তাদেরও রেহাই দেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও অন্য আরেকটি অংশের দাবি, ওই দম্পতি এখনও নিখোঁজ। আরেক পশুপালককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর। বাকি গ্রামবাসীরা ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে তাঁরা জানাচ্ছেন, এটাই শেষ নয়। ওরা আবার ফিরে আসবে। মেরে ফেলবে আমাদের। তাই ওই গ্রামে ফেরার সাহস নেই। আমরা অন্য কোথাও পালিয়ে যাব।” শুধু কিনমা গ্রাম নয়, মায়ানমার ছাড়তে চাইছেন আরও অনেকে। জুন্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যত সক্রিয় হচ্ছে ততই বাড়ছে তাদের অত্যাচার।

উল্লেখ্য, গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফিরেছিল আং সান সু কি’র (Aung San Suu Kyi) দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সু কি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে সামরিক ‘জুন্টা’। এরপরই ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অফ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি’র মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানিয়েছিলেন আচমকা কাউন্সিলর সু কি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করেছে সেনাবাহিনী। অর্থাৎ সেনা অভ্যুত্থান হয়। সে দেশের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। তার পর থেকেই দেশজুড়ে বাড়ছে অশান্তি।

[আরও পড়ুন: প্রবল খাদ্য সংকটে উত্তর কোরিয়া, উদ্বিগ্ন কিম বার্তা দিলেন দেশবাসীকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement