গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দুমাস। তা সত্ত্বেও কোনও নির্দেশিকা কার্যকর হয়নি। তাতে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন তিনি। নির্দেশ কার্যকর না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেই জানান বিচারপতি।
২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে অংশ নেন চাকরিপ্রার্থী পল্লব বারিক। ওই পরীক্ষায় তিনি পাশ করেননি বলে জানায় পর্ষদ। তার পর এতগুলো বছর কেটে যায়। পর্ষদকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন পল্লব। চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, আবার গত বছর পর্ষদ জানায়, টেটে পাশ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তিনি ৯২ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। টেট উত্তীর্ণ জানতে পেরে চাকরির দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেন পল্লব।
[আরও পড়ুন: রাজের ঘরে রাজকন্যা ইয়ালিনি, হাসপাতাল থেকে ছবি পোস্ট শুভশ্রীর]
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই চাকরিপ্রার্থীকে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর না হওয়ায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুনানির ৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থাৎ বিকাল ৩টে ২০ মিনিটের মধ্যে আদালতের পূর্ব নির্দেশ মানতে হবে বলেই সাফ জানান বিচারপতি। নির্দেশ না মানলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।