গোবিন্দ রায়: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস আটকে বিক্ষোভ দেখানো, তাঁর বাড়িতে পোস্টার লাগানোর ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন চিহ্নিত আইনজীবীরা। পুলিশি তদন্তে চিহ্নিত ছ’জনকে সতর্কও করা হয়েছে আদালতের তরফে।
গত ১০ জানুয়ারি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কটের দাবিতে একদল আইনজীবী আদালতে বিক্ষোভ দেখান। এজলাসের দরজা আটকে তাঁরা কাজে ইচ্ছুক আইনজীবীদের ঢুকতে বাধা দেন। বিচারপতির এজলাস বয়কটের দাবিতে হাই কোর্ট (Calcutta High Court) চত্বরে প্রচুর পোস্টার পড়ে। তার আগের রাতে বিচারপতির যোধপুর পার্কের বাড়ির সামনেই একই ধরনের পোস্টার পড়ে। ঘটনায় আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে চিহ্নিত করে হাই কোর্ট প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরজি, দলীয় কর্মী খুনের কথা উল্লেখ করে রাজ্যপালকে চিঠি অধীরের]
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চে তাঁদের কাজের জন্য ক্ষমা চাইলেন নয় আইনজীবী। আদালতে হলফনামা দিয়ে রীতিমতো দুঃখ প্রকাশ করেন তাঁরা। তার প্রেক্ষিতে ওই আইনজীবীদের অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে পুলিশি তদন্তে বিচারপতির বাড়ি ও কলকাতা হাই কোর্টে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে চিহ্নিত ছয় জনকেও শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সতর্ক করে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেন কেউ এ ধরনের কাজ না করেন।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “আইনজীবীদের রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে। কিন্তু যখন তাঁরা আইনজীবীর গাউন পড়েন, তখন তাঁদের রাজনৈতিক সত্তা দূরে সরিয়ে রেখে আইনজীবী পরিচয়ে কাজ করা উচিত।” তিনি আরও বলেন, “শনিবার, রবিবার আপনারা রাজনীতি নিয়ে চিৎকার করুন আপত্তি নেই, কিন্তু সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন কাজের দিনে মন দিয়ে আইনজীবীর ভূমিকা পালন করুন।” বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, “হাই কোর্টের বারের মর্যাদা রক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে সেই দিকেও খেয়া রাখতে হবে।”