সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজের প্রশাসনের আধিকারিকদেরই 'ক্রিমিনাল' বলে বসলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! দিনকয়েক আগে কানাডার এক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ছক জানতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! তার পরেই ট্রুডোর দাবি, ক্রিমিনাল গোয়েন্দা আধিকারিকরা গোপন খবর ফাঁস করছে এবং সেই তথ্য না বুঝে 'আজগুবি' রিপোর্ট তৈরি করছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
বুধবার কানাডার এক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, নিজ্জরকে হত্যার ছক কষেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর তা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। এর পরেই খলিস্তানি জঙ্গিনেতাকে হত্যার ছক কষা হয়। উল্লেখ্য, নিজ্জর খুনের পর থেকেই কানাডা বারবার দাবি করেছে, ভারতীয় কূটনীতিকদের ভূমিকা রয়েছে খলিস্তানি নেতার মৃত্যুর নেপথ্যে।
কানাডার সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। তার পরে খানিক সুর নরম করে কানাডার তরফে জানানো হয়, “প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর বা নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের বিরুদ্ধে কানাডার মাটিতে কোনও অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ নেই। অভিযুক্ত হিসাবে এদের কারোওর নামও উল্লেখ করেনি কানাডার সরকার।” ফ্যাক্ট চেক করার পরই কানাডা প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিবৃতি পেশ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
কানাডার এই বিবৃতি প্রকাশের পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ট্রুডো। সেখানে তাঁর স্পষ্ট দাবি, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখছি, অত্যন্ত গোপন তথ্যও মিডিয়ার কাছে ফাঁস করে দিচ্ছে ক্রিমিনালরা। সেখান থেকেই ভুল রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। কানাডার প্রশাসনে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করছে কিনা সেই নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে তদন্ত চলছে। ক্রিমিনালরা মিডিয়ার কাছে তথ্য ফাঁস করছে সেটা ইতিমধ্যেই বোঝা গিয়েছে। তারা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।" উল্লেখ্য, ট্রুডোর বিরুদ্ধেই একাধিকবার খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনিই নিজের দেশের গোয়েন্দাদের 'ক্রিমিনাল' বলছেন, সেই ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক।