শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: দুর্গাপুজো শুধু নয়, থিমের রমরমা কালীপুজোতেও (Kali Puja)। সেই থিমেও রয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। মিশরের পিরামিডের (Pyramid) আকারে সেজে উঠছে ফরাক্কার জুভেন্তাস ক্লাবের মণ্ডপ। জাঁকজমকের দিক থেকে বরাবরই অন্যান্য ক্লাবকে টক্কর দিয়ে এসেছে জুভেন্তাস। এবারও ব্যতিক্রম হল না। এ বছরও ফরাক্কার সবচেয়ে বিগ বাজেটের কালীপুজো করছে জুভেন্তাস ক্লাব। এবার তাঁদের বাজেট তিন লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা।
ফরাক্কা ব্যারেজ টাউনশিপের জুভেন্তাস ক্লাবের কালীপুজো মানেই অভিনবত্ব। নতুনত্বের ছোঁয়া। এই পুজোকে ঘিরে এক সময় রাজনৈতিক লড়াইও ছিল দেখার মতো। সেরার দৌড়ে জুভেন্তাস ক্লাব পাল্লা দিত অন্যান্য ক্লাবকে। এবার সেই জুভেন্তাস ক্লাবের কালীপুজোর থিম মিশরের পিরামিডের আদলে মণ্ডপ। পাশাপাশি মণ্ডপের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মিশরের রাজা বা ফ্যারাওয়ের আদলে তৈরি হচ্ছে অভিনব প্রতিমাও। আর এই অভিনব থিমের প্রতিমা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে।
[আরও পড়ুন: মা কালীকে ৫৮০ ভরি সোনার গয়নায় সাজালেন অনুব্রত মণ্ডল, শুধু মুকুটই দেড়কেজির]
এই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জঙ্গিপুরের সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ প্রয়াত আবুল হাসনাৎ খান। রাজ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটার সঙ্গে এখন জুভেন্টাস ক্লাব শাসক শিবিরের অধীনে। এবার পুজো কমিটির সভাপতি ফরাক্কা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি এজারাত আলি, চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক। এই পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য জনি ইসলাম জানান, “পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য মিশরের পিরামিডের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে আমাদের এবারের কালী পুজোর মণ্ডপ। যা শুধু ফরাক্কা নয় আশেপাশের বহু অঞ্চলের দর্শকদের মুগ্ধ করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
[আরও পড়ুন: মা কালীকে ৫৮০ ভরি সোনার গয়নায় সাজালেন অনুব্রত মণ্ডল, শুধু মুকুটই দেড়কেজির]
মালদহ এবং রায়গঞ্জের শিল্পীরা দীর্ঘ পনেরো দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মণ্ডপটি গড়ে তোলার কাজ করে চলেছেন। এবার মণ্ডপের দু’পাশের রাস্তাকে অভিনব আলোকমালায় সাজানো হবে। করোনাবিধি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে।