অর্ণব আইচ: একসময়ের দলীয় সহকর্মী থেকে পড়শি। জ্যোতিপ্রিয় এবং পার্থ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে একে অপরের প্রতিবেশী। অতীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগঠনের দায়িত্ব সামলেছেন দুজনে। বছরখানেক আগে যেন তাল কাটে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার। আর তার পর থেকে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিকে, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরও বর্তমান ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। ধৃত মন্ত্রী গরাদের ওপারে ইতিমধ্যে কাটিয়ে ফেলেছেন এক রাত। পয়লা বাইশ সেলে থাকলেও মুখোমুখি দেখা হয়নি জ্যোতিপ্রিয়-পার্থর।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পয়লা বাইশ সেলেই সাধারণত হেভিওয়েট অভিযুক্তদের রাখা হয়। সেখানেই রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, বিছানা নেই। পাননি গদিও। পেয়েছেন কেবলমাত্র কম্বল। তাতেই সারারাত শুয়েছিলেন। তবে চোখের পাতা এক করতে পারেননি। কেবল এপাশ ওপাশ করেই রাত কেটেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রীর। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কারণে বাড়ির খাবার খেতে পারতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর বাড়ির খাবার পাবেন না। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে চিকিৎসকদের পরামর্শমতো ‘ডায়েট ফুড’ দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রীকে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার ‘খুনি’কে পিটিয়ে মারল জনতা, জোড়া খুনে জ্বলছে জয়নগর]
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক(Jyotipriya Mallick)। দুদফায় ইডি হেফাজতে সিজিও কমপ্লেক্সে ছিলেন। কালীপুজোতেই জেলে যান জ্যোতিপ্রিয়। সূত্রের খবর, জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীরা রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে জামিনের আবেদন জানাননি। ‘শারীরিক অসুস্থতা’র কথা উল্লেখ করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তির আর্জি জানান। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত মন্ত্রীর। ওইদিন আদালত কী রায় দেয়, সেটাই এখন দেখার।