সোমনাথ রায়: রাহুল গান্ধীর পর এবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আরও একটি উইকেট পড়ল কংগ্রেসের। দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়লেন গুণার প্রাক্তন সাংসদ। লোকসভায় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ৪০টি আসনের পর্যবেক্ষক ছিলেন সিন্ধিয়া। সেই সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের গুণা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীও ছিলেন তিনি। জ্যোতিরাদিত্যের পর্যবেক্ষণে থাকা কোনও আসনেই জেতেনি কংগ্রেস। এমনকী তিনি নিজে পারিবারিক গড় গুণা থেকে পরাজিত হয়েছেন।হারের যাবতীয় দায় নিয়ে, এবার সরে দাঁড়ালেন জ্যোতিরাদিত্য।
[আরও পড়ুন: গায়ে উত্তরীয় পরায় শতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠতে বাধা ৮২ বছরের বৃদ্ধকে, কাঠগড়ায় রেল]
রাহুল গান্ধীর ইস্তফার জল্পনা শুরু হতেই কংগ্রেসে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যেই অন্তত ২০০ নেতা পদত্যাগ করেছেন। রাহুল নিজে সরে দাঁড়ানোর পর তাঁর ঘনিষ্ঠরাও একে একে পদত্যাগ করা শুরু করেছেন। তবে, এখনও পর্যন্ত তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম সিন্ধিয়া। তাঁর পদত্যাগের ফলে, মধ্যপ্রদেশেও ধাক্কা খেল কংগ্রেস। কারণ, ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। ইস্তফা দিয়েছেন, দলের আরও দুই বর্ষীয়ান নেতা।
সিন্ধিয়ার ইস্তফা অবশ্য কৌশলগত পদক্ষেপও হতে পারে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুলের পর নবীন ব্রিগেডের সদস্যরা একে একে পদ ছেড়ে আসলে প্রবীণদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন। একা জ্যোতিরাদিত্য নয়, এদিন তরুণ ব্রিগেডের আরও একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা পদত্যাগ করেছেন। তিনি হলেন, যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি কেশবচাঁদ যাদব। তিনিও রাহুলের পদত্যাগকেই নিজের পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। কেশব বলেন, “আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম রাহুল গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই। ২০১৯ লোকসভায় হারের দায় নিয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি। আগের মতোই একজন কংগ্রেস কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।” পদত্যাগ করেছেন, মুম্বই কংগ্রেস কমিটির প্রধান মিলিন্দ দেওরাও।
[আরও পড়ুন: চরম আতঙ্কে কাটছে দিন, প্রাণ বাঁচাতে নাম বদলের ভাবনা মুসলিম আমলার]
শনিবারই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং প্রকাশ্যে বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীর উত্তরাধিকারী হতে পারেন একমাত্র তরতাজা কোনও তরুণ নেতা। তারপরই দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ তরুণ নেতার পদত্যাগ, একপ্রকার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে।
The post আরও সংকটে কংগ্রেস! এবার ইস্তফা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার appeared first on Sangbad Pratidin.