সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে মানচিত্র নিয়ে বিবাদের পর থেকেই নেপালের রাজনীতিতে প্রবল টানাপোড়েনের সৃষ্টি। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বিরুদ্ধে নেপালের শাসকদলের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড-সহ প্রায় সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতাই ওলির অপসারণের দাবিতে সরব হয়েছেন। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে গন্ডগোল চলার মাঝেই সম্প্রতি নেপালের বিভিন্ন জায়গায় রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন। দাবি উঠেছে ফের নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর। বিষয়টি নিয়ে যখন দেশের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে ঠিক তখনই এই আন্দোলনে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli) মদত দিচ্ছেন বলে দাবি করল নেপালি কংগ্রেস। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তিনি এই কাজ করছেন বলে দাবি তাদের।
সোমবার মধ্য নেপালের হেতাউদা এলাকায় সরকার বিরোধী বিশাল জনসভার আয়োজন করেছিল দেশের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা বলেন, ‘নেপালে হিন্দু রাষ্ট্র ও রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে যে আন্দোলন চলছে তার পিছনে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সম্পূর্ণ মদত রয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। কারণ তা যদি না হত তাহলে রাজতন্ত্রের সমর্থনে আন্দোলনকারীরা এভাবে নেপালের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বিক্ষোভ দেখানোর সুযোগ পেত না। তবে রাজতন্ত্রের দাবিতে যারা আন্দোলন করছে তাদের স্বপ্ন কোনওদিন পূরণ হবে না।’
[আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন বরিস জনসন, সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী]
২০০৬ সালের আন্দোলনের জেরে ২০০৮ সালে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, এখন একদলীয় ব্যবস্থা চালু করার জন্য ওলি রাজতন্ত্রের সমর্থনকারীদের উসকে নেপালে গন্ডগোল তৈরি করতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এর জন্য সরকারি আধিকারিদের দুর্নীতি দেখে চুপ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। করোনা মহামারীর মোকাবিলা করতে গিয়ে দুর্নীতি করছে তারা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা বাড়লেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না।